মালদ্বীপের শাসনক্ষমতায় আছেন চীনপন্থী বলে পরিচিত মোহাম্মদ মুইজ্জু। তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সঙ্গে নানা ইস্যুতে মালদ্বীপের সম্পর্ক একেবারে তলানিতে পৌঁছায়। এরই মধ্যে মুইজ্জু সরকারের প্রথম কোনো মন্ত্রী হিসেবে ভারত সফরে গিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মূসা জমির। বুধবার তিনি নয়াদিল্লি পৌঁছান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে মূসা জমির নিজেই তার অফিশিয়াল ভারত সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি লেখেন, ভারতে আমার প্রথম দ্বিপক্ষীয় অফিশিয়াল সফরের অংশ হিসেবে নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছি। ফলপ্রসূ আলোচনা, সম্পর্ক জোরদার করা এবং ভারতের প্রাণবন্ত সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য অপেক্ষা করছি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাদের অফিশিয়াল টুইটার পেজে মূসা জমিরের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা লিখেছে, মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মূসা জমিরকে তার অফিশিয়াল ভারত সফরে উষ্ণতার সঙ্গে স্বাগত জানাই। দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুতে আলোচনা এবং আমাদের বহুমুখী সম্পর্ককে গতিশীল করার উপায় খুঁজতে হবে।
মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সফর এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন নয়াদিল্লি দেশটিতে থাকা সব ভারতীয় সেনাদের ১০ মে—এর মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করছিল। তবে মূসা জমিরের এ সফরকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের প্রচেষ্টা হিসেবে ধরা যেতে পারে।
এর আগে, গত ৩ মে ভারত-মালদ্বীপের মধ্যে চতুর্থ দফায় উচ্চপর্যায়ের কোর গ্রুপের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় ভারত সরকার জানিয়েছিল, ১০ মে-র আগেই মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নেওয়া হবে।
ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মূসা জমির জানিয়েছেন, মালদ্বীপের তরফ থেকে ভারতের বিরুদ্ধে যেসব অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে, ভবিষ্যতে তার আর পুনরাবৃত্তি হবে না। এমনটা যেন না ঘটে তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মালদ্বীপে ভারতীয় পর্যটক কমে যাওয়ার বিষয়টি প্রশমিত করতে আবারও ভারতীয়দের মালদ্বীপে স্বাগত জানান মূসা জমির। তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের পর্যটনমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন, তিনি (ভারতীয় পর্যটকদের) স্বাগত জানাতে চান এবং আমি নিজেও ভারতীয়দের স্বাগত জানাতে চাই, যারা মালদ্বীপ ভ্রমণ করতে চান।