মার্কিন বোমায় ফিলিস্তিনিরা মারা গেছেন: বাইডেন

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মে ২০২৪, ০৭:১৩ পিএম

ইসরাইলকে বোমা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সেই বোমা গাজায় ব্যবহার করেছে ইসরাইল। এখন এ বিষয়ে অনুতপ্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেছেন, 'ওই বোমার আঘাতে এবং অন্যভাবে গাজায় ফিলিস্তিনি বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন। ইসরাইলের প্রতিরক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্র দায়বদ্ধ। তাই তারা আয়রন ডোম রকেট ইন্টারসেপটার দেবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র একটা বিভাজনরেখাও তৈরি করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ইসরাইল যদি রাফাতে আক্রমণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ দেবে না।
যুক্তরাষ্ট্র এর আগে বারবার ইসরাইলকে বলেছে, তারা যেন দক্ষিণ গাজার শহর রাফায় আক্রমণ না করে।
চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে ইসরাইলের মন্ত্রিসভা রাফায় সামরিক অভিযানের অনুমতি দিয়েছে। সেখানে ১২ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করে।
এখন পর্যন্ত ইসরাইলের অস্ত্র ও গোলাবারুদের সবচেয়ে বড় যোগানদাতা যুক্তরাষ্ট্র। ইসরাইল যাতে প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে তাই প্রতিবছর ৩৮০ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য দেয় দেশটি।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের যুদ্ধে দৃঢ় সমর্থন আছে যুক্তরাষ্ট্রের। তারপরও গাজাবাসীকে সুরক্ষা দিতে মানবিক ত্রাণ সহায়তা পৌঁছতে না পারা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন।
তাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন প্রথমবারের মতো ইসরাইলে বোমার চালান পাঠানো পিছিয়ে দিল।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিবিসিকে নিশ্চিত করেই জানিয়েছেন, ২ হাজার পাউন্ডের কয়েক হাজার বোমার চালান পাঠানো স্থগিত করা হয়েছে। ইসরাইলের কাছে অন্যান্য অস্ত্র বিক্রির বিষয়টিও পুনরায় ভেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইসরাইলের ওপর সবচেয়ে বড় প্রভাবটা এখন কেন খাটাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র? প্রথম কারণ হলো- যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক পশ্চিমা দেশেরই আশঙ্কা, রাফায় ইসরাইলের সর্বাত্মক অভিযান প্রচুর মানুষ হতাহতের ঘটনা ঘটবে এবং মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, যে বোমাগুলোর চালান তারা পিছিয়ে দিয়েছেন, সেগুলো রাফা অভিযানে ব্যবহার হতে পারত। আর তেমন হলে সেখানকার শহুরে এলাকায় তা বিপর্যয়কর পরিণতি ডেকে আনত।
যুক্তরাষ্ট্র চায় না ইসরাইল রাফায় হামলা করুক। আর সে বার্তাই তাদের বুঝিয়ে দেওয়ার এটি আরেকটি পথ। যুক্তরাষ্ট্র কতটা উদ্বিগ্ন সেটি ইসরাইলকে দেখিয়ে দেওয়ারই বার্তা এটি- ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
ডয়চে ভেলে ও বিবিসি