সাবিত্রী। ফাইল ছবি
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ার জেরে এক নারী তার ছয় বছরের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ছেলেকে কুমিরভর্তি খালে ফেলে দিয়েছেন। ঘটনার পরদিন খাল থেকে শিশুটির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্নাটকে এ চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাবিত্রী ও রবি কুমার দম্পতির দুই ছেলে সন্তান। এদের মধ্যে ৬ বছর বয়সি বিনোদ জন্মগতভাবে বধির ও মূক। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই সন্তানকে নিয়ে সাবিত্রীর সঙ্গে মাঝেমধ্যেই রবি কুমারের কলহ লেগে থাকত।
সাবিত্রী বাসাবাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। আর তার স্বামী রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ছেলেকে নিয়ে রবি প্রায়ই সাবিত্রীকে কটূক্তি করতেন এবং তাদের ছেলেকে খালে ছুড়ে ফেলতে বলতেন।
সাবিত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, এ ঘটনার জন্য তার স্বামী দায়ী। তিনি প্রায়ই বলতেন, ছেলেকে মরতে দাও এবং সে কেবল খেতেই পারে। স্বামী যদি এভাবে বলতেই থাকে, তাহলে ছেলে কতটা অত্যাচার সহ্য করবে? দুঃখের কথা জানাতে কোথায় যাব?
এনডিটিভি জানায়, ছেলেকে নিয়ে শনিবার বিকালে আবার তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। শনিবারের সেই ঝগড়ার পর সাবিত্রী তার ছেলেকে উত্তর কন্নড় জেলার খালে নিয়ে গিয়ে কুমিরভর্তি খালে ফেলে দেন।
পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে দমকল বাহিনী সেখানে তল্লাশি শুরু করে। পরদিন সকালে শিশুটির লাশ পাওয়া যায়।
লাশটি ছিল অর্ধ-খাওয়া ও ক্ষতবিক্ষত। শিশুটির লাশের ডান হাত ছিল না এবং সারা শরীরে ছিল কামড়ের দাগ। শিশুটি যে কুমিরের কামড়েই প্রাণ হারিয়েছে এতেই সেটির ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।