২০২৩ সালের ১১ জুন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি তেহরানে দেশটির একটি পারমাণবিক কর্মসূচি পরিদর্শন করছেন, ইনসেটে সাইদ লায়লাজ।
ইরানের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাংবাদিক এবং সংস্কারপন্থি রাজনীতিক সাইদ লায়লাজ দেশটির কর্তৃপক্ষকে পারমাণবিক বোমা তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন। সাবেক এ রাজনৈতিক বন্দি ইরানে সামরিকীকরণ পারমাণবিক কর্মসূচির পক্ষে।
মিডেল ইস্ট আই জানিয়েছে, একটি সাক্ষাৎকারে এমন আহ্বান জানিয়েছেন স্পষ্টভাষী এই সংস্কারবাদী বিশ্লেষক। তিনি দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের লক্ষ্যেই রয়েছে। তার মতে, এই জাতীয় শক্তি অর্জন করা ছাড়া দেশটির কোনো বিকল্প নেই।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটমস ফর পিস উদ্যোগের অধীনে পারমাণবিক উৎক্ষেপণের উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালে তার (ইরানের পরমাণু কর্মসূচি) সূচনা হওয়ার পর থেকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি পারমাণবিক বোমা অর্জন করা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য অনুসরণ করেনি।’
যদিও ইরান ক্রমাগত দাবি করে যে, তার পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে, তবে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে সাম্প্রতিক সরাসরি সামরিক সংঘর্ষ তেহরানকে তার প্রোগ্রামটিকে সামরিক দিকে ধাবিত করতে উস্কে দিয়েছে।
তবে লায়লাজ এটিকে পারমাণবিক কৌশলের একটি নতুন উন্নয়ন বলে মেনে নিতে নারাজ।
তার মতে, প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা কৌশলের পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে না। বরং এই কৌশলটি আগে খোলাখুলিভাবে স্বীকার করা হয়নি, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি কিছু ব্যক্তিকে ইরানের প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করার বিষয়ে প্রকাশ্যে আলোচনা করতে বাধ্য করে, ব্যাখ্যা করে বলেন ইরানের রক্ষণশীলদের সোচ্চার সমালোচক লায়লাজ।
২০০৯ সালের সবুজ আন্দোলনের (গ্রিন মুভমেন্ট) সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় ১০০ দিনের বেশি নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছিল তাকে। তিনি প্রকাশ্যে পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য একটি সামরিক লক্ষ্যের পক্ষে একমাত্র সংস্কারবাদী বিশ্লেষক হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন।
‘আমাদের অবশ্যই প্রথম পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করতে হবে। ইরান নিজেকে ভূ-রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন মনে করে। তাছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের যে পরিস্থিতি সেটাই দাবি করে যে, আমরা পারমাণবিকীকরণের দিকে অগ্রসরে পদক্ষেপ গ্রহণ করি,’ উপসংহারে বলেন লায়লাজ।