Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

দাবদাহে ভিয়েতনামের জলাধারে মারা গেল কয়েক লাখ মাছ!

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ মে ২০২৪, ০২:৫৪ পিএম

দাবদাহে ভিয়েতনামের জলাধারে মারা গেল কয়েক লাখ মাছ!

ছবি: সংগৃহীত

ভিয়েতনামের দক্ষিণাঞ্চলের ডংনাই প্রদেশের এক জলাধারে কয়েক লাখ মাছ মারা গেছে। মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চলমান তীব্র দাবদাহের ভুক্তভোগী হয়েছে এই জলাধারটি। এমতাবস্থায় বর্তমানে প্রায় ৩০০ হেক্টর আয়তনের জলাধারটি মরা মাছে পূর্ণ হয়ে আছে। জেলেরা সেখানে হেঁটে ওই মাছগুলো সংগ্রহ করছেন।

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতোই ভিয়েতনামে তীব্র গরম দেখা দিয়েছে। তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই করছে। এমতাবস্থায় কৃষকরা নিজেদের ফসল বাঁচাতেও হিমশিম খাচ্ছে। 

জলাধারটির এমন পরিস্থিতির কারণ হিসেবে লোকাল মিডিয়া ও স্থানীয়রা খরা, তাপপ্রবাহ ও এটির ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্যাগুলোকে কারণ হিসেবে দায়ী করছেন।

সম্প্রতি অনলাইনে ছড়িয়ে পরা ছবিগুলোতে দেখা যায়, মরা মাছগুলো কাদার ওপর স্তূপ হয়ে আছে। এর আগে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছিল, কয়েক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় জলাধারটিতে থাকা প্রাণীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুব কম।

প্রদেশের ট্রাংবম জেলার বাসিন্দা এনঘিয়া এএফপিকে বলেন, মাছগুলো মূলত পানির অভাবে মারা গেছে। গত ১০ দিনে গন্ধে আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

এমনকি অসংখ্য বালতি ও জাল দিয়েও সমস্ত মৃত মাছ সরাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। স্থানীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, জলাধারটি সংস্কারের ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর সৃষ্ট পরিস্থিতিতে প্রায় ২০০ টনের মতো মাছ নষ্ট হয়েছে। 

ছবিতে দেখা যায়, জলাধার শুকিয়ে কাদামাখা হয়ে গেছে; কিছু কিছু জায়গায় মাটিতে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্তর স্তরে মৃত মাছ জলে ভাসছে।

এনঘিয়া এএফপিকে বলেছেন, জলাধারটি সংস্কারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কাদা অপসারণের জন্য একটি পাম্প আনা হয়েছে। যাতে করে মাছের চলাচলের জন্য কিছুটা জায়গা তৈরি হয়।

এনঘিয়া জানায়, জলাধারটি ট্রাংবম ও ভিন কুউ জেলায় ফসলের জন্য পানি সরবরাহ করে থাকে। সে ক্ষেত্রে পূর্বে ফসল বাঁচানোর জন্য এটি থেকে সেচ দেওয়া হয়েছিল।

স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো জানায়, জলাধারটিতে অতিরিক্ত পানি সরবরাহের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রচণ্ড দাবদাহের কারণে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসা হয়। এএফপি জানিয়েছে, এতগুলো মাছ মারা যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম