যুক্তরাষ্ট্র প্রমাণ করল ইরানের নীতি সঠিক: সর্বোচ্চ নেতা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ মে ২০২৪, ০৩:৫০ পিএম
আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি। ছবি: তাসনিম নিউজ এজেন্সি
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনি বলেছেন, ইসরাইলি নৃশংসতায় মার্কিন সরকারের জড়িত থাকা এবং ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীদের ওপর তার সহিংস দমন-পীড়ন প্রমাণ করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে ইরানের যে বিরোধিতা ও হতাশাবাদ তা সঠিক।
বুধবার তেহরানের ইমাম খোমেনি হুসাইনিয়ায় অনুষ্ঠিত শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। জাতীয় শিক্ষক দিবস উপলক্ষে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
এ সময় ছাত্র, যুবক এবং কিশোর-কিশোরীদের ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নীতি ও কর্মের ব্যাপারে যুক্তি ও যুক্তি সম্পর্কে শিক্ষিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সেই সঙ্গে আয়াতুল্লাহ খামেনি তার দেশে প্রায়শই শোনা ‘আমেরিকার মৃত্যু’ এবং ‘ইসরাইলের মৃত্যু’ জনপ্রিয় স্লোগানগুলোর পেছনে অন্তর্নিহিত যুক্তি বোঝার তাৎপর্যের ওপর জোর দেন।
তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, এই লাখ লাখ তরুণ-তরুণী যদি জানে কে বন্ধু এবং শত্রু কারা এবং দেশের শত্রুদের লক্ষ্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে শত্রুদের বিশাল মিডিয়া এবং রাজনৈতিক বিনিয়োগ অকার্যকর হয়ে পড়বে।
গাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ইহুদিবাদীরা এবং তাদের আমেরিকান ও ইউরোপীয় সমর্থকরা যতই চেষ্টা করুক না কেন, গাজা থেকে বিশ্বের জনমতকে তারা দূরে সরিয়ে নিতে পারবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে প্রতিদিন কী ঘটছে তা দেখুন। আজকে খবরে পড়লাম, আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় (বিক্ষোভ) যোগ দিয়েছে। (এছাড়াও) অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও বিক্ষোভ হচ্ছে, দেশগুলি গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা দখলদার শাসকগোষ্ঠীর ওপর ক্রমবর্ধমান জনসাধারণের চাপের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘পাগলাটে ইহুদিবাদী কুকুরের বর্বর ও নির্দয় কর্মকাণ্ড ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও ইরানি জাতির অবস্থানকে বৈধতা দিয়েছে। ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যাযজ্ঞ, যার মধ্যে অর্ধেকই নারী ও শিশু, ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর দুষ্ট ও বিদ্বেষপূর্ণ চেহারা প্রকাশ করেছে, যার ফলে বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ইরানের অবস্থান সঠিক প্রমাণিত হয়েছে।