
প্রিন্ট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
পশ্চিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফিলিস্তিনপন্থি’দের ওপর দমনপীড়ন, যা বললেন ইরানি প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৯ পিএম

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
আরও পড়ুন
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দখলদার ইসরাইলের নির্বিচার হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছেন এবং অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টির তীব্র সমালোচনা করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
তিনি বলেছেন, পশ্চিমা সভ্যতার স্বরূপ বিশ্ববাসীর সামনে স্পষ্ট হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে তারা যে জোর গলায় বাকস্বাধীনতার কথা বলে এবং সেটা যে ফাঁকা বুলি- তাও মানুষ বুঝতে পেরেছে।
তাসনিম নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট পশ্চিমা দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ইসরাইলবিরোধী আন্দোলনকে একটি ‘বিশাল ঘটনা’ বলে বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন, এসব দেশের সরকারগুলো শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দমন করে কথিত পশ্চিমা সভ্যতার প্রকৃত চেহারা বিশ্ববাসীর সামনে স্পষ্ট করে দিয়েছে।
রোববার তেহরানে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এমন মন্তব্য করেন রাইসি। তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন অভিযান ও ধরপাকড়ের ঘটনা- তাদের জন্য আরেকটি কলঙ্ক বয়ে এনেছে যারা বাকস্বাধীনতা রক্ষা করার দাবি করে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, বিশ্ববাসীর সামনে কথিত পশ্চিমা সভ্যতার ধ্বজাধারীদের স্বরূপ উন্মোচনের এই ঘটনায় গাজা উপত্যকার নিরপরাধ শহীদ ফিলিস্তিনিদের অবদান রয়েছে। বর্বর ইসরাইলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়ে তারা পাশ্চাত্যের কথিত ভদ্র চেহারার মুখোশ খুলে দিয়েছেন।
রাইসি আরও বলেন, পাশ্চাত্যে যারা বাকস্বাধীনতার কথা বলে তারা নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখার স্বার্থে এই স্বাধীনতার অপপ্রয়োগ করে; তাদের আধিপত্য খর্ব করে এমন কোনো কথা তারা মুখে উচ্চারণ করতে দেয় না। কিন্তু ধরপাকড় অভিযান চালিয়ে ইসরাইলি নৃশংসতা ও অপরাধযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনকে দমন করা যাবে না বলে সতর্ক করে দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট।