দুই দফা ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর অবশেষে গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতাল ছেড়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী। হাসপাতালটির সব সরঞ্জাম ও সুবিধা ধ্বংস হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গণকবর থেকে অন্তত ১৮০ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে দেশটির জরুরি বিভাগ। খবর আল-জাজিরার
হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যাওয়া চিকিৎসাকর্মীরা ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তারা হাসপাতালের ভেতরে মানুষজনকে জড়ো করে হাত পিছমোড়া করে ও চোখও বেঁধে ফেলে এবং কোয়াডকপ্টার বা স্নাইপার দিয়ে তাদের গুলি করে হত্যা করে। তাদের সবাইকে একটি কবরে সমাধিস্থ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের সিভিল ডিফেন্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এক বিবৃতিতে বলেছে, রোববার খান ইউনিস প্রদেশে আমাদের টিম বিভিন্ন বয়সের ১৮০ শহীদের মরদেহ উদ্ধার করেছে। দখলদার বাহিনী এদের মৃতদেহ জড়ো করে নাসের হাসপাতালে সম্মিলিতভাবে সমাধিস্থ করেছে। নিহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হওয়ায় আমাদের দল অবশিষ্ট শহীদদের সন্ধান ও পুনরুদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
সামরিক বাহিনী প্রায় দুই সপ্তাহ আগে নাসের হাসপাতাল ছেড়ে যাওয়ার পর এই গণকবরের হদিস পাওয়া গেছে।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুসারে, নাসের হাসপাতালই প্রথম স্বাস্থ্য নয়, যেখানে এমন গণকবর পাওয়া গেছে। আল-শিফা হাসপাতাল গত কয়েক দিনে উত্তরাঞ্চলে আরও মৃতদেহের সন্ধান পেয়েছে। দুই মাস আগে কামাল আদওয়ান হাসপাতালে আরও লাশ পাওয়া যায়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী তাদের অপরাধ একের পর এক মাটিচাপা দিয়ে চলেছে।
এদিকে গত শুক্রবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফাহে ইসরাইলের বিমান হামলায় এক গর্ভবতী নারী ও ছয় শিশুসহ ১৬ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। নিহত নারীর অনাগত সন্তানকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকেরা।
এ ছাড়া নূর শামস শরণার্থীশিবিরে হামলাকালে ১৪ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নাবলুসের দক্ষিণে সহিংসতায় আহত ফিলিস্তিনিদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করা এক অ্যাম্বুলেন্সচালককে গুলি করে হত্যা করেছে ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীরা।