‘বিধ্বংসী রকেট’র পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৩ পিএম
কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের জন্য নকশা করা ‘সুপার-লার্জ ওয়ারহেড’র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এছাড়াও একটি নতুন বিমান বিধ্বংসী রকেটও পরীক্ষা করেছে দেশটি। শনিবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, শুক্রবার বিকালে (স্থানীয় সময়) এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে। আলজাজিরা, ডয়চে ভেলে।
কেসিএনএ বলেছে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র প্রশাসন ‘হুয়াসাল-১ রা-৩’ কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহারের জন্য সুপার-লার্জ ওয়ারহেডের শক্তি পরীক্ষা করেছে। কৌশলগত ক্রুজ মিসাইলটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া একই দিনে উত্তর কোরিয়া কোরীয় সাগরের পশ্চিমে ‘পিওলজি-১-২’ নামের নতুন ধরনের বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রেরও সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী শনিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা পীত সাগরে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বেশ কিছু ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ভূমি থেকে আকাশে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। জেট প্রোপেল্ড ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে অনেক নিচু দিয়ে উড়ে যেতে পারে। এ কারণে এসব ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও ভূপাতিত করা বেশ কঠিন ছিল।
নতুন ধরনের অস্ত্র সিস্টেম এর অপারেশনকে উল্লেখ করে কেসিএনএ বলেছে, অস্ত্র পরীক্ষাটি ছিল প্রশাসন এবং এর অধিভুক্ত প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ।
পারমাণবিক শক্তিধর দেশটির পারমাণবিক ও অস্ত্র কর্মসূচির বিষয়ে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের সময়ে এই পরীক্ষা চালানো হলো। আগে থেকেই বিশ্লেষকরা হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছিলেন, উত্তর কোরিয়া নতুন করে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে পারে।
ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহারের লক্ষ্যে রাশিয়ার জন্য পাঠানোর আগে এই পরীক্ষা চালানো হতে পারে, এমনটাই বলে আসছিলেন তারা। উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘনিষ্ঠ মিত্র। এজন্য বিশ্লেষকরা বলেছেন, পিয়ংইয়ং মস্কোর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা থেকে উপকৃত হতে পারে। বিশেষ করে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির ক্ষেত্রে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াও অভিযোগ করে আসছে উত্তর কোরিয়া নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহ করেছে।
উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং সাম্প্রতিক সময়ে অস্ত্র পরীক্ষা বাড়িয়েছে। কারণ, সিউল এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়াও এই অঞ্চলে তাদের সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে। উত্তর কোরিয়ার বেশ কয়েকটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যার মধ্যে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এছাড়াও উত্তর কোরিয়ার ক্রুজ মিসাইল সংগ্রহও দিন দিন বেড়ে চলেছে।