Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ভাগ্য নির্ধারণের কাঠগড়ায় ভারতের বিশেষ ৫ দল

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১২ পিএম

ভাগ্য নির্ধারণের কাঠগড়ায় ভারতের বিশেষ ৫ দল

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতে শুক্রবার ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। লোকসভার ৫৪৩টি আসনে সাত দফায় চলবে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম। ছয় সপ্তাহ ধরে চলা সাত দফার এ ভোট উৎসবের মাধ্যমে ভাগ্য নির্ধারণ হবে ভারতের জনপ্রিয় দলগুলোর।

এবারের নির্বাচনে এ ভাগ্য নির্ধারণের কাঠগড়ার প্রথম সাড়িতে রয়েছে দেশটির বিশেষ পাঁচ দল। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), জাতীয় কংগ্রেস, দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টি (এএপি), দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগম (ডিএমকে) এবং অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)।

এছাড়াও রাজ্যপর্যায়ে সুপরিচিত আরও বেশ কিছু দল রয়েছে। অনেক ছোট দলের প্রার্থীরাও নেমেছেন এ ভোটযুদ্ধে। ভারতের ভোটগ্রহণ শেষ হবে আগামী ১ জুন। ফলাফল জানা যাবে ৪ জুন। রয়টার্স, বিবিসি।

ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ (৫৯): প্রায় ১৮০ মিলিয়ন সদস্যসহ বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। ১৯৮০ সালে হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলটি গঠিত হওয়ার পর প্রথমদিকে রাজনীতিতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয় তাদের। ১৬ বছর পর মাত্র ১৩ দিন স্থায়ী একটি অস্থিতিশীল সরকারে দলটি থেকে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন নরেন্দ্র মোদি (৭৩)। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রথম সরকার গঠন করে ২০১৪ সালে

এরপর থেকে বেশ শক্তপোক্তভাবেই ক্ষমতায় টিকে আছে দলটি। এক দশক ক্ষমতায় থাকার পর তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে নেমেছেন তিনি। অমিত শাহ প্রধানমন্ত্রী মোদির ঘনিষ্ঠ সহযোগী। জাতীয় নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। 

মোদি ক্ষমতায় আসার পর ২০১৪ সালে বিজেপির সভাপতি পদে আসীন হন অমিত। ২০১৯ সালে মোদির দ্বিতীয় দফা ক্ষমতায় মন্ত্রিসভায় স্থান পান অমিত।

জাতীয় কংগ্রেস, রাহুল গান্ধী (৫৩): কংগ্রেস ভারতের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। ১৯৪৭ সালে দেশটির স্বাধীনতার পর থেকে দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি সময় ধরে ভারতকে শাসন করেছে। কিন্তু মোদি ক্ষমতায় আসার পর নিজেদের টিকিয়ে রাখার সংগ্রামে হিমশিম খাচ্ছে দলটি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী মোদির চরম প্রতিপক্ষ। ২০১৯ সালে সর্বশেষ সংসদ নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় হারের পর দলীয় প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও ভারতের বিরোধীদলীয় রাজনীতির কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন রাহুল। তার বাবাসহ পারিবারিক অঙ্গনের পূর্বসূরিরা ৩৭ বছরের বেশি দেশ শাসন করেছেন। গান্ধী এবারের নির্বাচনে দক্ষিণের রাজ্য কেরালার ওয়ানাদ থেকে লড়ছেন।

আম আদমি পার্টি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল (৫৫): ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী এক শক্তিশালী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আবির্ভাব হয় আম আদমি (এএপি) অথবা কমন পারসনস পার্টির। ২০১২ সালে এএপি গঠন করেন দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০১৫ সালে রাজধানী দিল্লিতে স্থানীয় সরকার গঠন করে তার দল। কথিত এক ঘুস কেলেঙ্কারিকে ঘিরে এখন কেজরিওয়াল ও তার দলের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

দ্রাবিড় মুন্নেত্র কাজগম (ডিএমকে): দক্ষিণ ভারতের একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক শক্তি দ্রাবিড় মুনেত্র কাজগম (ডিএমকে)। সংসদের নিন্মকক্ষে আসন সংখ্যার দিক থেকে ডিএমকে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম দল। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন ডিএমকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে তামিলনাড়ুর ৩৯টি আসনে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কংগ্রেসের মিত্র এ দলটি তামিলনাড়ু রাজ্যে বেশ শক্তিশালী। ২০১৯ সালে ডিএমকে নেতৃত্বাধীন জোট রাজ্যের ৩৯টি আসনের মধ্যে ৩৮টি জিতেছিল।

অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি), মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (৬৯): সংসদের আসনের ভিত্তিতে ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম দল অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস (টিএমসি)। পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় রয়েছে দলটি। প্রায় ২৫ বছর আগে কংগ্রেস থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এ দল গঠিত হয়। দলের প্রতিষ্ঠাতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় ১৩ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে রয়েছেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম