বাইডেন-শির ফোনালাপ, ১০৫ মিনিটে কী কথা হলো দুই নেতার
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্র-ভারত কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর মধ্যে ফোনালাপ হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ১০৫ মিনিট কথা হয়েছে এই দুই নেতার।
এদিকে ফোনালাপটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের এ অঞ্চলের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারত সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধীদলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।
আর এটি নিয়ে মুখ খুলতেই গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দূতকে তলব করে নয়াদিল্লি। গত বছরের নভেম্বর মাসে ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রথমবারের মতো বৈঠকে বসেছিলেন বাইডেন এবং শি জিনপিং।
ফিলিস্তিনের গাজায় এবং ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্রের মহড়াসহ বিভিন্ন ইস্যুতে অস্থিরতা বিরাজ করছে সারা বিশ্বে।
এর বাইরে ওয়াশিংটন-বেইজিং সম্পর্কে গলার কাঁটা হয়ে আছে তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগরে উসকানি এবং মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো।
উভয় প্রেসিডেন্টের ফোনালাপে তাইওয়ান প্রণালি, আইনের শাসন এবং নির্বিঘ্নে দক্ষিণ চীন সাগরে চলাচলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু স্থান পেয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
রাশিয়ার অস্ত্র তৈরির ঘাঁটিতে চীনের সমর্থনে উদ্বেগ জানিয়েছেন বাইডেন। এর ফলে ইউরোপ এবং আটলান্টিক এলাকার নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে বলে উদ্বেগ জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট।
ফোনালাপে কোরিয় উপসাগর এলাকা নিরস্ত্রীকরণে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন বাইডেন।
এছাড়া চীনের চলমান অন্যায্য ব্যবসা এবং বাজার নীতির কারণে আমেরিকান কর্মী এবং পরিবারগুলোর ওপর যে বিরূপ প্রভাব তৈরি হয়েছে তা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
টিকটক প্রসঙ্গে বাইডেন শিকে বলেন, টিকটক নিষিদ্ধ করা নয় বরং তার মান নিশ্চিত করা যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য যাতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং জনগণের ডাটা সুরক্ষিত থাকে।
আলাপকালে দুই নেতা উচ্চ পর্যায়ের কূটনীতির মাধ্যমে দুদেশের সম্পর্ককে জোরদারের যে চেষ্টা চলছে তাকে স্বাগত জানান। এ প্রচেষ্টার ধারাবাহিকতায় সামনের দিনগুলোতে নিয়মিতভাবে উচ্চ পর্যায়ের সফর অনুষ্ঠিত হবার বিষয়ে তারা একমত পোষণ করেন।
যেকোনো জটিল সমস্যা নিরসনে উভয় নেতা সরাসরি ফোনালাপে বিষয়ে গুরুত্ব দেন বলে হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে জানান যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাডমিরাল কিরবি।
চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বহুমাত্রিক সম্পর্কের ক্ষেত্র হিসাবে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় উঠে আসে নিরাপত্তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং মাদক বাণিজ্য প্রতিরোধের মতো বিষয়গুলো।