বয়ঃসন্ধির যন্ত্রণা সইতে না পেরে শিশুর আত্মহত্যা
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩ পিএম
কন্যাশিশুর প্রজনন ক্ষমতা তৈরি হওয়ার সময়কে বয়ঃসন্ধিকাল বলে। বয়ঃসন্ধিকালে কিশোরীদের মাসিক হয়, তখন তার শরীর থেকে দূষিত রক্ত বের হয়ে যায়।
শরীর থেকে টানা তিন থেকে সাত দিন রক্ত ঝরতে থাকে। এ সময় আসার আগেই অনেক বাবা-মা তাদের কন্যাসন্তানকে সচেতন করেন, খোলামেলা কথা বলে থাকেন।
কিন্তু এ বিষয়টি সম্পর্কে আগে থেকেই না জানার কারণে ভারতের মুম্বাইয়ে গত ২৬ মার্চ ১৪ বছরের এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছে।
সেই মেয়েটি প্রথমবারের মতো মাসিক হয়েছিল। শরীর থেকে হঠাৎ রক্তপাত হওয়ায় সে ভয় পেয়ে যায়। এই ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে সে নিজেই আত্মহত্যা করে।
আসলে মাসিক নিয়ে সমাজে প্রচলিত লজ্জা ও বাধ্যবাধকতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব জায়গায় এ বিষয়ে নীরবতা পালন করা হয়। ১৪ বছরের মেয়েটিও পিরিয়ড সম্পর্কে কিছুই জানত না। তার মা, শিক্ষক বা প্রতিবেশীরা তাকে এ সম্পর্কে আগে থেকে ধারণা দেয়নি। যে কারণে এত বড় ক্ষতিটা হয়ে যায়। এ কারণে এই ধরনের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ের মালওয়ানি এলাকায় ঘটে যাওয়া এ ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে অনেক দেরিতে। স্থানীয় লক্ষ্মী ঝুপড়িতে বসবাসকারী ১৪ বছর বয়মি একটি মেয়ের প্রথমবারের মতো মাসিক শুরু হয়েছিল। তার পিরিয়ড সম্পর্কে কোনো জ্ঞানই ছিল না। তাই সেই সময় প্রচণ্ড যন্ত্রণা সইতে পারছিল না সে। প্রচণ্ড মানসিক চাপে অনুভব করছিল।
এ কারণে গত মাসের ২৬ তারিখ রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় সে আত্মহত্যা করে। বাড়িতে এসে পরিবারের সদস্যরা যখন দেখতে পান যে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাকে কান্দিভালির স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তাররা তৎক্ষণাৎ পরীক্ষা করে নিশ্চিত করে দিয়েছিলেন যে মেয়েটি ইতোমধ্যেই মারা গিয়েছে।
পুলিশ ময়নাতদন্ত করেছে। তবে মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে তার প্রথম মাসিক হয়েছিল। সেই যন্ত্রণা সইতে না পেয়ে হয়তো আত্মহত্যা করেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পিরিয়ড সম্পর্কে কিশোরীদের মধ্যে সঠিক বোঝাপড়ার অভাবই এ ধরনের মর্মান্তিক ঘটনার আসল কারণ।