কেজরিওয়ালের পর এবার কৈলাশ, কী আছে আম আদমি পার্টির ভাগ্যে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৪, ০৫:০৮ পিএম
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিরাপত্তা হেফাজতে। বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ। এসব নিয়ে ভারতের রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তোলপাড় হচ্ছে। বিশেষ করে এই বিতর্কের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ। তাদের সঙ্গে ভারত সরকারের টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে দিল্লির মন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা কৈলাশ গেহলটকে অর্থপাচার মামলায় তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। উদ্দেশ্য তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দিল্লি সরকারের বর্তমান স্বরাষ্ট্র, পরিবহন এবং আইনমন্ত্রীর দায়িত্বে আছেন গেহলট। তলব নোটিশ পাওয়ার পরই তিনি এজেন্সি অফিসে হাজির হয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
এতে বলা হয়েছে, একই মামলায় মাত্র কয়েকদিন আগে গ্রেফতার করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে।
ইডি সূত্র বলেছে, এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ এবং জবানবন্দি অর্থপাচার রোধ সংক্রান্ত আইনের অধীনে রেকর্ড করতে তলব করা হয়েছে গেহলটকে। এই মামলাটি ২০২১-২২ সময়ে দিল্লি সরকারের আবগারি নীতি প্রণয়ন এবং কার্যকর করার ক্ষেত্রে কথিত দুর্নীতি ও অর্থপাচারের সঙ্গে সম্পর্কিত। তবে পরে ওই নীতিটি বাতিল করা হয়েছে।
ইডির অভিযোগ, এই মদ-নীতির ফলে খুচরা বিক্রেতারা অস্বাভাবিক শতকরা প্রায় ১৮৫ ভাগ লাভ করেছে। আর পাইকারি বিক্রেতারা করেছে শতকরা ১২ ভাগ লাভ।
অভিযোগে বলা হয়েছে, পাইকারি বিক্রেতাদের লাভের শতকরা ৬ ভাগ ব্যবহার করা হয়েছে ঘুষে। এই অর্থ ব্যয় করা হয়েছে গোয়া এবং পাঞ্জাবের নির্বাচনি প্রচারণায়। এমন অর্থের পরিমাণ কমপক্ষে ৬০০ কোটি রুপি। এই ব্যবসায় জড়িত গ্রুপ আম আদমি পার্টি ও এর নেতাদের ঘুষ হিসেবে ১০০ কোটি রুপি দিয়েছে বলে অভিযোগ আছে।
ইডি তার অভিযোগে জানায়, গেহলট একটিমাত্র সিম নম্বর ব্যবহার করেছেন। কিন্তু তার ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি (আইএমইআই) পরিবর্তন করেছেন তিনবার। এসব অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে আম আদমি পার্টির তিনজন শীর্ষ নেতাকে। অন্য দু’জন হলেন দলের এমপি সঞ্জয় সিং ও দিল্লির সাবেক ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী মানিশ সিসোদিয়া।
এদিকে ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেতা ও তেলেঙ্গানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দশেখর রাওয়ের মেয়ে কে. কবিতাকেও জেলে নেওয়া হয়েছে।