Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

যুদ্ধবিরতির হাতছানি গাজায়

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪১ পিএম

যুদ্ধবিরতির হাতছানি গাজায়

আবারও যুদ্ধবিরতির হাতছানি গাজায়। নতুন করে গাজা যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হচ্ছে কাতারে। মিসরীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এপি জানিয়েছে, মধ্যস্থাতাকারীদের উদ্যোগে রোববার রাতে আলোচনা শুরু হওয়ার কথা। তবে এটি পিছিয়ে সোমবারও গড়তে পারে। 

এবারের বৈঠকে যোগ দেবে ইসরাইলও। পবিত্র রমজান শুরুর পর এবারই প্রথম ইসরাইলি কর্মকর্তা ও হামাসের নেতারা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসতে যাচ্ছেন। রমজানের আগেই ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করেছিলেন আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীরা। এমন কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এমন আশ্বাস দিয়েছিলেন। তবে পবিত্র এই মাসের প্রথম সপ্তাহ প্রায় শেষ হয়ে এলেও গাজায় ইসরাইলের সর্বাত্মক হামলা থামার কোনো নাম নেই। আগের আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় নতুন করে আবারও বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেন মধ্যস্থতাকারীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই মিসরীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিন পর্যায়ের এই প্রস্তাবে পাকাপাকিভাবে যুদ্ধ বন্ধের কথা বলা হয়েছে। 

প্রথম পর্যায়ে ছয় সপ্তাহ যুদ্ধবিরতি দেবে দু’পক্ষ। এ সময় ৩৫ জন ইসরাইলি জিম্মি মুক্তি পাবেন। যাদের মধ্যে থাকবেন অসুস্থ, বয়স্ক মানুষ ও নারীরা। বিনিময়ে, ইসরাইলি কারাগারে বন্দি ৩৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। 

এছাড়া হামাস আরও অন্তত পাঁচ নারী সেনাকে মুক্তি দেবে। তাদের মুক্তির বিনিময়ে দীর্ঘ মেয়াদে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ৫০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। এই পর্যায়ের অন্যান্য শর্তের মধ্যে আছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে গাজার দুটি মূল সড়ক ছেড়ে যেতে হবে। বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের উত্তর গাজায় ফিরে যেতে দিতে হবে। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহে কোনো বাধা দেয়া যাবে না। কর্মকর্তারা জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ে থাকবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা। উভয়পক্ষই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেবে। পাশাপাশি হামাস অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেবে। বিনিময়ে, আরও কিছু বন্দিকে মুক্তি দেবে ইসরাইল। তৃতীয় ও শেষ পর্যায়ে হামাসের হাতে থাকা নিহত জিম্মিদের মরদেহ ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যার বিনিময়ে, ইসরাইল গাজা অবরুদ্ধ করে রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও বাস্তবায়ন করবে এবং শহরটির পুনর্নির্মাণ ও সংস্কারে সহায়তা করবে। 

আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইসরাইলি সেনারা দক্ষিণ গাজার রাফাতে একটি পরিকল্পিত স্থল আক্রমণ চালাবে বলে জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও বলেছেন, আন্তর্জাতিক কোনো চাপই আমাদের লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিতে পারবে না। এর আগে নেতানিয়াহুর কার্যালয় শুক্রবার বলেছে, নেতানিয়াহু রাফাতে একটি অভিযানের জন্য সেনাবাহিনীর পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন, যদিও এদিন কোনো সময়রেখা দেওয়া হয়নি।

রাফাতে পরিকল্পিত হামলা বন্ধ করার জন্য ইসরাইলের কাছে আবেদন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। শনিবার ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইসাস মানবতার খাতিরে রাফাতে আক্রমণ না করার জন্য আবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাফাতে স্থল হামলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইসরাইলি পরিকল্পনার খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি আরও অনেক মৃত্যু ও দুর্ভোগের দিকে পরিচালিত করবে।’ 

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরাইলের নৃশংস হামলায় গাজায় কমপক্ষে ৩১,৬৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৩ হাজার ৬৭৬ জন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম