Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

গাজার পথে মার্কিন সামরিক জাহাজ, তৈরি হবে ভাসমান বন্দর

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৪, ০২:০৫ পিএম

গাজার পথে মার্কিন সামরিক জাহাজ, তৈরি হবে ভাসমান বন্দর

ছবি: বিবিসি

অবরুদ্ধ গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য যাতে সমুদ্র পথে ত্রাণ পাঠানো যায়, সেজন্য গাজা উপকূলে একটি ভাসমান বন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যে এ প্রক্রিয়া শুরু করেছে ওয়াশিংটন। বন্দর নির্মাণের সরঞ্জাম নিয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি জাহাজ এরইমধ্যে  মধ্যপ্রাচ্যের দিকে রওয়ানা হয়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার ভার্জিনিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটি থেকে সাহায্যকারী জাহাজ জেনারেল ফ্রাঙ্ক এস বেসন গাজার পথে রওয়ানা হয়েছে।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমুদ্র পথে গাজায় ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে গাজা উপকূলে একটি ভাসমান বন্দর নির্মাণের কথা বলেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরাইল। পাঁচ মাস পেরিয়ে যাওয়া এই যুদ্ধ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় শিশুরা অনাহারে মারা যাচ্ছে, সেখানে দুর্ভিক্ষ প্রায় অনিবার্য।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্থল ও আকাশ পথে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কঠিন এবং বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নিজেদের ত্রাণ বহরে গুলি এবং লুটপাটের ঘটনায় বিশ্ব খাদ্য প্রকল্প (ডব্লিউএফপি) গাজায় তাদের ত্রাণ বিতরণ সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। গত শুক্রবার আকাশ থেকে ফেলা ত্রাণের প্যাকেটের আঘাতে গাজায় পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ত্রাণের প্যাকেটে বাঁধা প্যারাস্যুট ঠিক মতো না খোলায় দুর্ভাগ্যজনক এ ঘটনা ঘটে।

মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের পক্ষ থেকে বন্দর নির্মাণ সরঞ্জাম নিয়ে জাহাজ পাঠানোর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ঘোষণা দেওয়ার ‘৩৬ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে’ যুক্তরাষ্ট্রের জাহাজ গাজার পথে রওয়ানা হয়েছে।

পেন্টাগন জানিয়েছে, ভাসমান ঘাঁট নির্মাণে তাদের সর্বোচ্চ ৬০ দিন সময় লাগবে। এ কাজে এক হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে। যদিও তাদের কেউই গাজা তীরে যাবে না।

নানা মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ বলা হচ্ছে, ঘাঁট নির্মাণে যে দুই মাস সময় লাগবে, গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত এবং অনাহার পীড়িত মানুষদের পক্ষে ততদিন অপেক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম