ন্যাটোর যে ৩ দেশে পরমাণু বোমা ফেলার পরামর্শ পুতিন ঘনিষ্ঠ টিভি উপস্থাপকের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৪৯ এএম
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্বজুড়ে সংঘাত ও উত্তাল রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পরিপ্রেক্ষিতে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর তিন দেশে পরমাণু বোমা হামলার পরামর্শ দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘনিষ্ঠ এক টিভি উপস্থাপক ভ্লাদিমির সোলোভিয়ভ।
শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইকের এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্সে পরমাণু হামলার কথা বলেছেন ভ্লাদিমির সোলোভিয়ভ।
ক্রেমলিনের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত রুশ গণমাধ্যমের অন্যতম খ্যাতনামা সাংবাদিক ও টিভি উপস্থাপক ভ্লাদিমির সোলোভিয়ভ ন্যাটোর তিন নেতৃস্থানীয় দেশ যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ফ্রান্সে পরমাণু হামলার কথা বলেছেন। টকশোর অন্য আলোচকরা বলেন, প্যারিস, মার্সেই, লিও, হামবুর্গ, মিউনিখ, গারমিশ-পার্টেনকির্চেন ও যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলোতে সবার আগে পরমাণু বোমা ফেলতে হবে।
রাশিয়া ওয়ান ও আরটিআর-প্লানেটা টেলিভিশনে ‘ইভিনিং উইথ ভ্লাদিমির সোলোভিয়ভ’ শীর্ষক একটি টকশো পরিচালনা করেন উপস্থাপক ভ্লাদিমির সোলোভিয়ভ। গত মাসের শুরুর দিকে ওই টকশোতে তিনি পশ্চিমা শহরগুলোতে পরমাণু হামলার পরামর্শ দেন। ওই টকশোর ভিডিও এখন ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়েছে।
ডেইলি বিস্টের সাংবাদিক জুলিয়া ডেভিস গত শুক্রবার (৭ মার্চ) এক্সে ওই টকশোর একটি অংশ শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, টকশোয় অংশ নেওয়া আলোচক ও বিশ্লেষকরা পশ্চিমের কোন কোন শহরে সবার আগে পরমাণু হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা উচিত সেগুলোর নামও উল্লেখ করেন। তাদের কয়েকটি শীর্ষ পছন্দ— প্যারিস, মার্সেই, লিও, হামবুর্গ, মিউনিখ বা গারমিশ-পার্টেনকির্চেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
নিউজউইক জানিয়েছে, ওই টকশোর বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তারা ইমেইলের মাধ্যমে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এখনো জবাব আসেনি।
ইউক্রেনের সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ‘বাস্তব’ পরমাণু যুদ্ধ শুরু হতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বহু রুশ রাজনীতিক ও কর্মকর্তা। এর মধ্যে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দিমিত্রি মেদভেদেভ থেকে শুরু করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও রয়েছেন।
কয়েক দিন আগেও আবারও পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেন পুতিন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) জাতির উদ্দেশে দেওয়া বার্ষিক ভাষণে তিনি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে পশ্চিমা দেশগুলো উত্তেজনা বাড়াতে থাকলে পরমাণু যুদ্ধের ‘প্রকৃত’ ঝুঁকি সৃষ্টি হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ গত সপ্তাহে দুই বছর পূর্ণ করেছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কিয়েভ অভিমুখে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের প্রতিরোধ লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে যা রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নেয়। সংঘাতে সরাসরি অংশ না নিলেও কিয়েভে ভলোদিমির জেলেনস্কি সরকারকে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা তথা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো।