গাজার উত্তরাঞ্চলে অনাহারে মরছে শিশুরা। সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আডানম গেব্রিয়াসিস।
৭ অক্টোবর হামলা শুরুর পর এই সপ্তাহের শেষে প্রথমবারের মতো গাজার আল-আওদা এবং কামাল আদওয়ান হাসপাতাল পরিদর্শন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হাসপাতাল পরিদর্শনের পর দেওয়া পোস্টে তিনি লিখেছেন, খাবারের অভাবের ১০ শিশু মারা গেছে। গাজার শিশুরা চরম অপুষ্টির শিকার হচ্ছে। হাসপাতালের ভবনগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, অন্তত ৮ হাজার রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজার বাইরে নেওয়া প্রয়োজন।
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরের একটি হাসপাতালে রোববার পর্যন্ত ১৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে অপুষ্টি ও পানিশূন্যতার কারণে কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অন্তত ১৫ শিশু মারা গেছে বলে দাবি করেছে হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গেব্রিয়াসিস বলেছেন, অনাহারে কেবল শিশুরা মারা যাচ্ছে তা নয়। বরং সেখানে জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহেরও গুরুতর ঘাটতি রয়েছে। গাজার এই অঞ্চলে আনুমানিক তিন লাখ মানুষ নামমাত্র বিশুদ্ধ পানি বা খাবার খেয়ে কোনো রকমভাবে জীবন ধারণ করছে। গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৩১ জন নিহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৯৭ জনের।