যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী নভেম্বরে। নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী বাছাইয়ে দেশটির অঙ্গরাজ্য ইলিনয়ে ভোটের (প্রাইমারি) ব্যালটে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। এটি সাবেক প্রেসিডেন্টের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে দেখছে তার বিরোধীরা। ট্রাম্প এখন কী সিদ্ধান্ত নেন সেটি দেখার অপেক্ষায় তার সমর্থকরা।

বুধবার এই রুল জারি করেছেন ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের এক বিচারক। খবর রয়টার্সের।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে (কংগ্রেস ভবন) বিদ্রোহে ট্রাম্পের ভূমিকার জন্য এই রুল জারি করা হয়েছে। 

ইলিনয়ের কুক কাউন্টি সার্কিট বিচারক ট্রেসি পোর্টার তার আদেশের ক্ষেত্রে যুক্তি দিয়েছেন, মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর বিদ্রোহবিরোধী ধারা লঙ্ঘনের জন্য অঙ্গরাজ্যে ১৯ মার্চ অনুষ্ঠেয় প্রাইমারির ব্যালট এবং ৫ নভেম্বরের সাধারণ নির্বাচনের ব্যালটে ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করা উচিত।

আদালতের এমন আদেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্প আপিল করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিবেচনায় আদেশ কার্যকরের বিষয়টি বিলম্বিত করেছেন আদালত।

আদেশের পর বিচারক পোর্টার বলেছেন, তিনি তার সিদ্ধান্তের কার্যকরিতা স্থগিত করছেন। কারণ ট্রাম্প ইলিনয়ের আপিল আদালতে আপিল করবেন বলে তিনি ধারণা করছেন। তা ছাড়া এ বিষয়ে মার্কিন সুপ্রিমকোর্ট থেকে একটি সম্ভাব্য আদেশ আশা করছেন তিনি।

আরও পড়ুন:ট্রাম্পের চাপের মুখে পদত্যাগ করলেন রিপাবলিকান পার্টির প্রধান

ইলিনয়ের এ মামলাসহ অন্যান্য অনুরূপ মামলার চূড়ান্ত ফল সম্ভবত মার্কিন সুপ্রিমকোর্ট নির্ধারণ করবেন। ভোটের ব্যালটে ট্রাম্পের যোগ্যতা-সম্পর্কিত শুনানি গত ৪ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সুপ্রিমকোর্ট গ্রহণ করেছেন।

ইলিনয়ের ভোটে ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণার প্রচেষ্টার নেতৃত্ব দিয়েছিল প্রচার গোষ্ঠী (অ্যাডভোকেসি গ্রুপ) ফ্রি স্পিচ ফর পিপল। তারা এক বিবৃতিতে এ আদেশকে ‘ঐতিহাসিক বিজয়’ হিসেবে অভিহিত করেছে।

ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারে এক মুখপাত্র বিবৃতিতে আদালতের এমন আদেশকে 'অসাংবিধানিক' বলে অভিহিত করেছেন। আদেশের বিরুদ্ধে 'দ্রুত আপিল করবেন' বলেও জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে মার্কিন সংবিধানের একই সংশোধনীর একই ধারা উল্লেখ করে কলোরাডো ও মেইনের আদালত অঙ্গরাজ্য দুটির প্রাইমারির ব্যালটে ট্রাম্পকে অযোগ্য ঘোষণা করেন। ট্রাম্প আপিল করায় উভয় সিদ্ধান্তই স্থগিত আছে।

২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেস যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের বিজয় সত্যায়ন করছিলেন, তখন ট্রাম্পের সমর্থকরা ক্যাপিটল ভবনে (কংগ্রেস ভবন) হামলা চালিয়েছিলেন। এর আগে ট্রাম্প তার সমর্থকদের উদ্দেশে উসকানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তিনি তার সমর্থকদের ক্যাপিটলে যেতে এবং সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করতে বলেছিলেন।