ছবি: সংগৃহীত
গাজায় ইসরাইলি হামলা চলছেই। গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। এর পর কয়েক দফায় যুদ্ধবিরতি হলেও তার মেয়াদ বাড়েনি।
সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানালেন, আগামী সপ্তাহে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হতে পারে বলে আশা করছেন তিনি। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে মানবিক সংকট চলাকালেই মিশর, কাতার, আমেরিকা, ফ্রান্স ও আরও কয়েকটি দেশের প্রতিনিধিরা চেষ্টা করছেন হামাস ও ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে। এ ছাড়া হামাসের হাতে জিম্মিদেরও মুক্তির চেষ্টা করছেন তারা। এমনকি ইসরাইলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের ছেড়ে দেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন তারা।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আইসিজের শুনানি শেষ
এ নিয়ে সোমবার নিউইয়র্কে যাওয়া জো বাইডেনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেছেন, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি রয়েছি। যদিও এখনো চুক্তি হয়নি, তবে চুক্তির খুব কাছে রয়েছি। আমি আশা করছি আগামী সোমবারের মধ্যে আমরা যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রয়োগ দেখতে পাব।’
এর আগে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে শনিবার ফ্রান্সের প্যারিসে আলোচনার জন্য যায় ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে আলোচনায় অগ্রগতির খবর পাওয়ার পর গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। এ ছাড়া রোববার আমেরিকার হোয়াইট হাউস থেকেও যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে বোঝাপড়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ইসরাইলের সামরিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিল হিজবুল্লাহ
এর আগে শনিবার তেলআবিবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ইসরাইলের জনগণ। হামাসের সঙ্গে চুক্তি এবং জিম্মি ফেরত আনার বিষয়ে নেতানিয়াহুর ব্যর্থতার জন্যই এ বিক্ষোভের সূচনা হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা নতুন করে নির্বাচনের আহ্বানও জানান। এখান থেকেই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি উঠে আসে।
এর পর মিশর, কাতার ও আমেরিকার মধ্যস্থতায় শনিবার সন্ধ্যায় প্যারিসে ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভাকে আলোচনার বিষয়ে বলা হয়।
ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, প্যারিস আলোচনায় লক্ষ্য যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা। এই চুক্তিতে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
অন্যদিকে রোববার আমেরিকার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, একটি জিম্মি চুক্তি এবং অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ‘মূল রূপরেখা’ সম্পর্কে একটি বোঝাপড়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি হামলায় আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরাইলে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও ২৫৩ জনকে জিম্মি করে। এ ঘটনার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরাইল। ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত উপত্যকায় ২৯ হাজারের ৭০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে প্রায় ৭০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।