জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে যে উদ্যোগ নিচ্ছে ইসরাইল
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ও গাজায় থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য কাতারে প্রতিনিধি পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা।
শনিবার এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে ইসরাইলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। একই কথা জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
এই আলোচনা ফ্রান্সের প্যারিসে শুরু হয়েছিল। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও শিন বেতের প্রধানেরা।
আরও পড়ুন: ‘আমরা কোন পৃথিবীতে বাস করি, যেখানে মানুষ খাবার পানি পায় না’
ইসরাইলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাচি হানেবি গতকাল সন্ধ্যায় এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, তাদের প্রতিনিধিদল ইতিমধ্যে প্যারিস থেকে ফিরে এসেছে। সম্ভবত একটি সমঝোতার দিকে অগ্রসর হওয়ার সুযোগ আছে।
প্যারিস বৈঠকের ফলাফলের বিষয়ে গতি আনতে ইসরাইলি আলোচকদের তাদের মন্ত্রিসভার সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছিল বলে সাক্ষাৎকারে জানান জাচি হানেবি।
পরে ইসরাইলি গণমাধ্যম জানায়, মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচকদের বৈঠকটি শেষ হয়েছে। আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আগামী দিনগুলোতে কাতারে একটি প্রতিনিধিদল পাঠাতে সম্মত হয়েছে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। এই আলোচনায় ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের ওপর চাপ ক্রমাগতভাবে বেড়ে চলছে। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপের দাবিতে গতকাল ইসরাইল হাজারো মানুষ বিক্ষোভ করেছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
সরকারি তথ্যের আলোকে এএফপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইসরাইলে হামাসের এই হামলায় প্রায় ১ হাজার ১৬০ জন নিহত হন। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন।
ইসরাইলে হামলা চালিয়ে হামাস প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। জিম্মিদের মধ্যে শতাধিক ব্যক্তিকে গত নভেম্বরের শেষের দিকের এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতির সময় ছেড়ে দেয় হামাস।
ইসরাইল বলেছে, গাজায় এখনো প্রায় ১৩০ জন জিম্মি রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।