বিয়ের জন্য যুবককে অপহরণ করলেন তরুণী, অতঃপর…
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
প্রতীকী ছবি
এতদিন শোনা যেত নারীকে বিয়ের জন্য অপহরণ করেছেন কোনো পুরুষ। কিন্তু এবার শোনা গেল বিয়ের জন্য যুবককে অপহরণ করেছেন এক তরুণী। এ খবর দৃষ্টি কেড়েছে সবার। এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতে। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে পুরো ভারতে। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিবাহবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে ওই উপস্থাপকের ছবি ব্যবহার করেছিল কোনো ছদ্মবেশী। সেটি দেখার পর ওই ভিডিও জকি উপস্থাপকের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী তরুণী।
তিনি স্থির করে ফেলেন তাকে বিয়ে করবেন। ফলে হায়দরাবাদভিত্তিক ওই উপস্থাপকের পিছু নেন তিনি। এ জন্য ওই ভিডিও জকিকে অনুসরণ করতে তার গাড়িতে একটি ট্র্যাকিং ডিভাইস লাগিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: ফের বিয়ে করলেন ক্রিকেটার আল আমিন, কনে কে?
প্রস্তুতি শেষ করে তিনি ওই জকিকে অপহরণ করতে ভাড়া করেন কিছু লোক। এসব কথা বলা হয়েছে পুলিশের কাছে দেওয়া অভিযোগে। ওই ভিডিও জকি থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর গ্রেফতার করা হয়েছে ৩১ বছর বয়সি তরুণীকে।
ওই তরুণী ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবসা করেন। অন্যদিকে যুবকটি একটি মিউজিক চ্যানেলে উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছিলেন। দুই বছর আগে ভারত ম্যাট্রিমোনিতে বিভিন্নজনের প্রোফাইল ব্রাউজ করছিলেন ওই যুবতী। সেখানে একটি অ্যাকাউন্টে তিনি আটকে যান।
তাতে ব্যবহার করা হয়েছে ভিডিও জকির ছবি। আস্তে আস্তে তার সঙ্গে চ্যাটিং শুরু করেন। কিন্তু অল্প সময় পরে বুঝতে পারেন ওই অ্যাকাউন্টটি ভুয়া। ফলে তাৎক্ষণিক ম্যাসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও জকির সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই যুবতী।
তখনই ভিডিও জকি তাকে জানান ওটা ভুয়া অ্যাকাউন্ট। কেউ তার ছবি ব্যবহার করে ওই অ্যাকাউন্ট সৃষ্টি করেছে। এ জন্য তিনি পুলিশে অভিযোগও দেন। পরে এই যুবকের সঙ্গে অব্যাহতভাবে মেসেজ বিনিময় করতে থাকেন তরুণী ব্যবসায়ী।
পুলিশ বলেছে, এমন অবস্থায় ওই তরুণীর ফোন নম্বর ব্লক করে দেন ভিডিও জকি। এতে বিমর্ষ হয়ে পড়েন তরুণী। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্ত পাকা করে ফেলেন যে, ওই ভিডিও জকিকেই বিয়ে করবেন। এ লক্ষ্যে তিনি ওই ভিডিও জকিকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ বলেছে, এ জন্য চারজন ব্যক্তিকে ভাড়া করেন তিনি। তার চলাফেরা মনিটরিং করতে গাড়িতে একটি এয়ারট্যাগ ডিভাইস লাগিয়ে দেন।
১১ ফেব্রুয়ারি ভিডিও জকিকে অপহরণ করা হয়। ভাড়াটে অপহরণকারীরা তাকে পাকড়াও করে নিয়ে যায় তরুণীর অফিসে। সেখান থেকে ভিডিও জকি যুবককে মুক্তি পাওয়ার একটি শর্ত দেন তরুণী।
বলেন, যদি তিনি তার ফোনের জবাব দিতে রাজি হন, তবেই তাকে ছাড়া হবে। এই শর্তে রাজি হয়ে মুক্তি পান ওই যুবক। তিনি সোজা চলে যান উপাল পুলিশ স্টেশনে। সেখানে অভিযোগ দেন। তার ওপর ভিত্তি করে পুলিশ ওই তরুণী এবং চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে।