সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধ করে আইন পাশ হয়েছে গ্রিসে। এমনকি সন্তানও দত্তক নিতে পারবে সমলিঙ্গের জুটি। বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে ১৭৬-৭৬ ভোটে আইনটি পাশ হয়। অর্থোডক্স খ্রিস্টান অধ্যুষিত দেশগুলোর মধ্যে গ্রিসই প্রথম সমলিঙ্গের বিয়েতে বৈধতা দিল।
পৃথিবীজুড়ে ৩৫ দেশে এখন সমলিঙ্গ বিয়ে আইনত বৈধ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্য দেশ এরই মধ্যে সমলিঙ্গের বিয়ে বৈধ করেছে।
আইন পাশের পর প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিস বলেন, নতুন আইন ‘সাহসিকতার সঙ্গে গুরুতর একটি অসমতার বিলোপ করতে চলেছে’।
যদিও আইনটি গ্রিসের মধ্যে বিভেদের সৃষ্টি করেছে বলে জানায় বিবিসি। গ্রিসের প্রভাবশালী দ্য অর্থোডক্স চার্চ এ আইনের তীব্র বিরোধিতা করেছে। গির্জা সমর্থকরা রাজধানী এথেন্সে সমলিঙ্গ বিয়ে আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভও করেছে।
অর্থোডক্স চার্চের প্রধান আর্শবিশপ লেরোনিমোস বলেছেন, এ ব্যবস্থাটি আমাদের মাতৃভূমির সামাজিক সংহতিকে কলুষিত করবে।
গ্রিসের ৩০০ সদেস্যের পার্লামেন্টে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেই সমলিঙ্গে বিয়ে আইনটি পাশ হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী মিৎসোতাকিস এ আইনের পক্ষে প্রচার চালিয়েছেন; কিন্তু তার মধ্য-ডানপন্থি দলের বেশ কয়েকজন এমপি সমলিঙ্গের বিয়ের বিরুদ্ধে ছিলেন। তাই আইনটি পাশ হওয়ার জন্য বিরোধী এমপিদের সমর্থন প্রয়োজন ছিল।
ভোট শুরুর আগে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চারপাশের ওই সব মানুষ যারা এতদিন অদৃশ্য হয়ে ছিলেন তারা শেষপর্যন্ত দৃশ্যমান হতে চলেছেন। তাদের সঙ্গে সঙ্গে অনেক শিশু অবশেষে তাদের অধিকারের শান্তি খুঁজে পেতে চলেছে।
‘এই সংস্কার আমাদের অনেক সম্মানিত নাগরিকের জীবন আরও ভালো করবে, অনেকের জীবন থেকে তাদের পছন্দের কিছু আর সরিয়ে না রেখে।’
এ আইনের বিরোধীরা বৃহস্পতিবার এথেন্সে গ্রিস পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। তবে এলজিবিটিকিউ সংগঠনগুলো বৃহস্পতিবারের ভোটকে স্বাগত জানিয়েছিল।
গ্রিস সমিলিঙ্গের বিয়ে বৈধতা দেওয়ায় এখন ইউরোপে তাদের প্রতিবেশী আরও কয়েকটি দেশ হয়তো একই উদ্যোগ নেওয়ার সাহস দেখাবে। ওই সব দেশে গির্জাগুলো সমলিঙ্গের বিয়ের ঘোরবিরোধী।