‘হামাস কিংবা প্রতিরোধ যোদ্ধারা আমাদের কাছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী নয়’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
মার্টিন গ্রিফিথস
জাতিসংঘের ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা সংস্থার (ওসিএইচএ) প্রধান মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, আমাদের কাছে হামাস কিংবা প্রতিরোধ যোদ্ধারা কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। এটি একটি রাজনৈতিক মতাদর্শ।
বুধবার স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। খোদ ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে।
সম্প্রতি ইসরাইল জোর দিয়ে বলেছে, ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনের অংশ হবে না হামাস। এ প্রসঙ্গে মার্টিন গ্রিফিথসের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, কোনো আলোচনা ছাড়াই এই সংগঠনগুলোকে সরিয়ে দেওয়া খুব কঠিন। কারণ সংগঠনগুলো স্থানীয় মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে।
বৃহস্পতিবার নিজের এই বক্তব্যকে স্পষ্ট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (আগের টুইটার) পোস্ট দিয়েছেন মার্টিন গ্রিফিথস।
পোস্টে তিনি বলেছেন, শুধু স্পষ্ট করার জন্য বলছি, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় হামাস নেই। তবে এতে গত ৭ অক্টোবরে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কম ভয়ংকর বা কম নিন্দনীয় হয়ে যায় না। আমি এটা বারবার বলে আসছি।
স্কাই নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওসিএইচএ প্রধান বলেন, আপনি যদি এমন লোকদের কাছে নিরাপদ থাকতে চান, যারা অবধারিতভাবে আপনার প্রতিবেশী হতে চলেছে, তবে তাদের সঙ্গে অভিন্ন মূল্যবোধের ভিত্তিতে একটি সম্পর্ক তৈরি করতে হবে।
এদিকে মার্টিন গ্রিফিথসের এসব কথার তীব্র সমালোচনা করেছে ইসরাইল। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, তাকে (মার্টিন গ্রিফিথস) ধিক্কার! জাতিসংঘ প্রতিদিনই আরও নিচে নামছে। জাতিসংঘের সহায়তাসহ কিংবা ছাড়াই আমরা হামাসকে নির্মূল করব। ইহুদিদের রক্ত সস্তা নয়।
জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান বলেছেন, জাতিসংঘের হামাসপন্থি অবস্থান অবশেষে টিভিতে উন্মোচিত হয়েছে। শত শত বেসামরিক মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা কি সন্ত্রাস নয়? নারীদের পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ কি সন্ত্রাস নয়? ইহুদিদের গণহত্যার চেষ্টা কি সন্ত্রাস নয়?
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জন মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জন ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে ধরে নিয়ে যায়। অভূতপূর্ব সেই হামলার পর থেকেই গাজায় অভিযান চালিয়ে আসছে ইসরাইলি বাহিনী।
চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলমান সেই অভিযানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ২৯ হাজারে। আহত হয়েছেন ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষ। হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এছাড়া ইসরাইলি বাহিনীর গোলায় বাড়িঘর হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন আরও লাখ লাখ ফিলিস্তিনি।