প্রধানমন্ত্রী পদ নিয়ে পিএমএল-এন ও পিপিপির দর কষাকষি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
বাবা আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে বিলাওয়াল ভুট্টো
নীতিগতভাবে জোট গঠনে রাজি হওয়ার পর নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) সঙ্গে আজ সোমবার মিটিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছে আসিফ আলি জারদারির পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। এ জন্য তারা আজ দলের নির্বাহী কমিটির বৈঠক আহ্বান করেছে। দৃশ্যত এ দুটি দলই সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। তবে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন- তা নিয়ে উভয় দলের মধ্যে চলছে দর কষাকষি।
পিপিপির বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি চাইছেন প্রধানমন্ত্রী হতে। অন্যদিকে পিএমএল-এনের নওয়াজ শরিফেরও একই খায়েস। কারণ তিনি এবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে পাকিস্তানে রেকর্ড গড়বেন। তার নামের আগে যুক্ত হবে চারবারের প্রধানমন্ত্রী। ফলে তাদের মধ্যে এখন এই একটি পদ নিয়েই অংশীদারিত্ব আটকে আছে। এর প্রেক্ষিতে আজ সোমবার বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। সেখান থেকে কোনো ঘোষণা আসতে পারে।
অন্যদিকে এ দুটি দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা বা জোট গঠনের সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দিয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার গওহর আলি খান।
তারা নিজেরা অন্য কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন বলে জানিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমগুলো। তাতে বলা হচ্ছে, পিএমএল-এন এবং পিপিপির মধ্যে অটুট বন্ধন স্থির হয়ে গেলে তারা মাওলানা ফজলুর রেহমানের জমিয়তে উলেমায়ে ইসলামকে (জেইউআইএফ) কাছে ডাকতে পারে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার আগেই তারা মিলে গঠন করেছিল পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (পিডিএম) জোট। ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর তারা সরকার গঠন করে। এবারও যদি তাই হয় তাহলে এটা হবে পিডিএম-২ মেয়াদ, এমনটাই বলছে অনলাইন জিও নিউজ।
জোট গঠন নিয়ে রোববার দিনভর নেতাদের দৌড়ঝাঁপ ছিল। পিএমএল-এন ও পিপিপির বৈঠকের পর যৌথ একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি লাহোরে বিলাওয়াল হাউসে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি এবং সহ-সভাপতি আসিফ আলি জারদারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা নতুন সরকার গঠনে সহযোগিতা চান।
জবাবে পিপিপির নেতৃত্ব জানান, তারা এই প্রস্তাব নিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে আলোচনা করবেন। এই আলোচনা হওয়ার কথা আজ সোমবার। তবে রোববার দুই দলের মধ্যে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের রাজনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক সহযোগিতায় নীতিগতভাবে একমত হয়েছে পিএমএল-এন এবং পিপিপি। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থেকে দেশকে রক্ষা করতে উভয় পক্ষ সমস্যা সমাধানে একমত হয়েছে।
এটা হতে পারে পিএমএল-এন ও পিপিপির সমন্বয়ে পিডিএম জোটের দ্বিতীয় মেয়াদের সরকার।