এমডব্লিউএমের সঙ্গে হাত মেলানোর ইঙ্গিত ইমরানের দলের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। এর পর তিনদিনও চললেও এখনো সব আসনের ফলাফল ঘোষণা হয়নি। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, ইমরান খানের সমর্থক স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই সবচেয়ে বেশি আসনে জয় পেয়েছেন। কিন্তু সেটি সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়।
তাছাড়া, কোনো দলের পতাকা তলে না আসলে সংরক্ষিত আসন পাওয়া কিংবা পার্লামেন্টে বিরোধী দল হওয়ার সুযোগও হারাবেন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ অবস্থায় অন্য কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়া ছাড়া কার্যত আর কোনো পথ খোলা নেই ইমরানপন্থি এসব প্রার্থীর। সেটি বুঝে এরই মধ্যে মজলিস ওয়াহদাত-ই-মুসলিমীন (এমডব্লিউএম) নামে একটি দলের সঙ্গে সমঝোতা করে ফেলেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। দলটির মুখপাত্র রউফ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা: কোন দল কত আসন পেল পাকিস্তানের নির্বাচনে
জিও নিউজের সঙ্গে আলাপকালে রউফ জানিয়েছেন, তারা পাঞ্জাবে সরকার গঠনের চেষ্টা করবেন। এছাড়া, খাইবার পাখতুনখোয়ায় (কেপি) সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতাও দলটির রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
পিটিআইয়ের কাছ থেকে অন্তত ৬০টি আসন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে রউফ হাসান বলেন, এ বিষয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল, এমনকি প্রয়োজনে আদালতে যাবে পিটিআই।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৩৩৬টি। এর মধ্যে ২৬৬ আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়। বাকি ৭০টি সংরক্ষিত আসন, যার মধ্যে ৬০টি নারীদের ও ১০টি অমুসলিমদের জন্য। এবার একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় মোট ২৬৫ আসনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে দলগুলোকে। নির্বাচনে বিজয়ী হতে অন্তত ১৩৪টি আসন পেতে হবে তাদের।
আরও পড়ুন: ইমরানের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নওয়াজকে যে বার্তা দিল জেইউআই
বাংলাদেশ সময় রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের তথ্য বলছে, ভোট হওয়া ২৬৫ আসনের মধ্যে ইমরান খান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি আসন পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তারা জিতেছেন ৯৩ আসনে।
এরপর ৭৩টি আসনে জিতেছে রয়েছে নওয়াজ শরিফের মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন)। ৫৪ আসনে জিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারির দল পিপিপি।
পিটিআই’র সঙ্গে সমঝোতা করা এমডব্লিউএম জিতেছে মাত্র একটি আসনে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, স্বতন্ত্ররা তিন দিনের মধ্যে যেকোনো দলে যোগ দিয়ে সরকার বা বিরোধী দল গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবেন।
বিজয়ী ইমরানপন্থি স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এমডব্লিউএমের ছাতার নিচে জড়ো হয়ে সরকার গঠন করতে না পারলেও শক্তিশালী বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।