ভারতের উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে কার্ফিউ জারি করা হয়েছে
ভারতের উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানিতে কার্ফিউ জারি করা হয়েছে। সব স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শহরে বিরাজ করছে যথেষ্ট উত্তেজনা। ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি বেআইনি মাদ্রাসা ভাঙা হচ্ছিল। মাদ্রাসার সংলগ্ন একটি মসজিদও আছে। প্রশাসনের দাবি, ওই মাদ্রাসা ও মসজিদ বেআইনি। বানভুলপুরা থানার কাছে ওই মাদ্রাসা আদালতের নির্দেশে ভাঙা হচ্ছিল বলে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের সঙ্গে সরকারি কর্মকর্তারা যখন মাদ্রাসা ভাঙতে যান, তখনই গোলমাল শুরু হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। পরিস্থিতি রীতিমতো উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। সংঘর্ষে প্রায় একশ জন পুলিশ কর্মী আহত হন। কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তারও আঘাত লাগে। পৌরসভার কর্মী ও সাংবাদিকরাও সহিংসতার মধ্যে পড়ে যান।
পুলিশ প্রথমে কাঁদানে গ্য়াসের সেল ফাটায়। কিন্তু পরে থানার সামনে রাখা কয়েকটি গাড়ি, ২০টি মোটরসাইকেল ও একটি পুলিশের বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর গুলি চলে।
রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি বলেছেন, ‘আদালতের নির্দেশের পর বেআইনি কাঠামো ভাঙার জন্য টিম পাঠানো হয়। কিন্তু ওই এলাকায় কিছু অসামাজিক মানুষ পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’
পৌরসভার কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায় দাবি করছেন, ‘পৌরসভা ওই বেআইনি কাঠামো সিল করে দিয়েছিল। তার আশপাশের তিন একর জমিও সিজ করা হয়েছে।’
নৈনিতালের জেলাশাসক বন্দনা সিং জানিয়েছেন, হাইকোর্টের নির্দেশেই জবরদখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে অভিযান চলছে। অনেকে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন। কয়েকজনকে হাইকোর্ট বাড়তি সময় দিয়েছে, কয়েকজনকে দেয়নি। যেখানে বাড়তি সময় দেওয়া হয়নি, সেখানে পৌরসভা ও পিডব্লিউডি বেআইনি নির্মাণ ভাঙছে।
উত্তরাখণ্ডই হলো ভারতের প্রথম রাজ্য যেখানে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করা হচ্ছে।