ভোটের ফল ঘোষণায় বিলম্ব, পাকিস্তানে নানা বিতর্ক
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:০১ এএম
ভোটের ফল ঘোষণায় বিলম্ব, পাকিস্তানে নানা বিতর্ক
পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণায় অস্বাভাবিক বিলম্ব হচ্ছে। ফলাফল এখনও গণনা চলছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, দেশটিতে এর আগের নির্বাচনের দিন স্থানীয় সময় মধ্যরাতের মধ্যে কোন দল এগিয়ে ছিল সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া গিয়েছিল। আর এবারের নির্বাচনের ১৪ ঘণ্টা পর শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৮টা পর্যন্ত ২৬৫ আসনের মধ্যে মাত্র ৯টি আসনের ফল পাওয়া গেছে।
দেশটির প্রভাবশালী ডন পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে বলা হয়েছে, এই ৯ আসনের ৩টিতে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থী, ৪টিতে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন), ২টিতে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণের পর এখন ভোট গণনা করা হচ্ছে। মোবাইল ফোন সংযোগ স্থগিত ও সহিংসতার কারণে নির্বাচন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এরপর ফল ঘোষণায়ও ধীরগতি দেখা যায়। এ অবস্থায় নির্বাচনে অযোগ্য ও কারাগারে বন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই বলছে, ফল প্রকাশে এই বিলম্ব ভোট কারচুপির লক্ষণ।
যদিও দেশটির টিভি চ্যানেলের অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে কিছুটা ইঙ্গিত করা হচ্ছে যে, ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা এগিয়ে রয়েছে। গত বছর দুর্নীতির অভিযোগে কারাগারে বন্দী ইমরান খানকে এই নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা হয় এবং তার দল পিটিআইকে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী দিতে হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, কেন্দ্র থেকে ফল আসতে অস্বাভাবিক ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। অবশ্য পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের বিশেষ সচিব জাফর ইকবাল ফলাফল ঘোষণা বিলম্বের জন্য ‘ইন্টারনেট সমস্যাকে’ দায়ী করেছেন।
বিলম্ব হওয়া সত্ত্বেও পিটিআই নেতারা বলছেন, তারা বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে অপর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রাথমিক ফলাফল ‘খুবই উৎসাহজনক’।
জিও নিউজের প্রতিবেদনে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচনের ফলাফল মধ্যরাতের কয়েক ঘণ্টা পর সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের ফলাফল ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের মাধ্যমে শুক্রবারের প্রথম দিকে পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করা হতে পারে।
জাতীয় পরিষদে পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা ১৩৬ আসনে এগিয়ে আছে বলে দাবি করেছেন দলটির সাবেক মহাসচিব নেতা ওমর আইয়ুব খান। তিনি বলছেন, কারচুপির জন্য ফলাফল ঘোষণায় বিলম্ব করা হচ্ছে।
পারমাণবিক অস্ত্রধারী বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম জনবহুল দেশটিতে জাতীয় এবং চারটি প্রাদেশিক পরিষদের এ নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন প্রায় ১৮ হাজার। জাতীয় পরিষদের ২৬৬টি আসনে লড়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি প্রার্থী। তবে দুর্বৃত্তের গুলিতে একজন প্রার্থী নিহত হওয়ায় ওই আসনে ভোটগ্রহণ স্থগিত রয়েছে। ইমরান খানের দলকে ভোটে কার্যত নিষিদ্ধ করায় দলটির নেতারা স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।