জানুয়ারিতে বিশ্বে খাদ্যমূল্য কমেছে: ফাও
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) খাদ্যমূল্য সূচক জানুয়ারিতে কমেছে। ২০২৩ সালের অব্যাহত প্রবণতা মেনেই এ বছরও মূল্যসূচক কমেছে। শুক্রবার সংস্থাটি এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। ফাও আরও বলেছে, গম ও ভুট্টার দাম কমায় খাদ্যমূল্য কমেছে।
ফাওয়ের খাদ্য মূল্যসূচক বিশ্ব বাজারে বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের দামের মাসিক পরিবর্তন পরিমাপ করে। সে অনুযায়ী জানুয়ারিতে খাদ্যমূল্য সূচক দাঁড়িয়েছে ১১৮ পয়েন্ট, যা ডিসেম্বরের তুলনায় ১ শতাংশ এবং ২০২৩ সালের তুলনায় ১০ দশমিক ৪ শতাংশ কম।
সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে বিশ্বে গমের রপ্তানি মূল্য কমায় ফাওয়ের সিরিয়াল মূল্যসূচক আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। এছাড়া ভুট্টার দামও কমেছে।
এদিকে গত সাত মাস ধরে মাংসের মূল্যসূচকও অব্যাহতভাবে কমছে। গত ডিসেম্বরের তুলনায় এ হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। মাংসের প্রধান রপ্তানিকারক দেশগুলো থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় হাঁস, গরুর মাংসের দাম কমেছে।
তবে একই সময়ে চিনির মূল্য বেড়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। আগের মাসের তুলনায় জানুয়ারিতে চিনির মূল্যসূচক ০ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। মূলত চিনি উৎপাদন ও রপ্তানিকারক অন্যতম দেশ ব্রাজিলে তুলনামূলক কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে আখ চাষের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এছাড়া থাইল্যান্ড এবং ভারতেও প্রতিকূল পরিবেশের কারণে এ শস্যের দাম বেড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এছাড়া সবজি, তেলের মূল্যসূচক ডিসেম্বরের তুলনায় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। তবে আগের বছরের তুলনায় এ মূল্য ১২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। পাম তেলের দাম বাড়ার কারণ হিসাবে দেখা হচ্ছে- প্রধান উৎপাদনকারী দেশগুলোতে মৌসুমে কম উৎপাদন এবং মালয়েশিয়ার প্রতিকূল আবহাওয়াকে। এছাড়া আমদানি চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সূর্যমুখী বীজ তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে।