Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানে নির্বাচনি প্রতীক বেগুন-বোতল-বিছানা, বিব্রত প্রার্থীরা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০ পিএম

পাকিস্তানে নির্বাচনি প্রতীক বেগুন-বোতল-বিছানা, বিব্রত প্রার্থীরা

ভোটারদের সামনে একটি বেগুন তুলে ধরেছেন এক প্রার্থী। ছবি: আরব নিউজ

নির্বাচনী সভায় বক্তব্যের একপর্যায়ে ভোটারদের সামনে একটি বেগুন তুলে ধরলেন আমির মুঘল। ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে একজন প্রার্থী তিনি। নির্বাচন কমিশন তাকে এ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে। আমিরের অভিযোগ, এ প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন কার্যত তাকে অবজ্ঞা করেছে। খবর আরব নিউজের

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দী ইমরান খানের অনুসারী আমির। নির্বাচন কমিশন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নির্বাচনী প্রতীক ‘ক্রিকেট ব্যাট’ কেড়ে নিয়েছে। দলের নেতৃত্ব নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি অভিযোগ এনে পিটিআইয়ের প্রতীক বাতিল করা হয়। ফলে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভিন্ন প্রতীকে লড়তে হচ্ছে পিটিআইয়ের প্রার্থীদের।

রাজধানী ইসলামাবাদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়ে আমির বলেন, সারা পাকিস্তানে বেগুন এখন সুপরিচিত প্রতীক। এটি এখন সবজির রাজায় পরিণত হয়েছে।

পাকিস্তানে সাক্ষরতার হার ৬০ শতাংশ। নির্বাচনী প্রচার এবং ব্যালটে নিজেদের প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য প্রতীক ব্যবহার করে থাকে দলগুলো।

তবে সামরিক বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় বিরোধী দলগুলোকে কোণঠাসা করে রাখার অভিযোগ রয়েছে। কিছু প্রার্থীর অভিযোগ, অবমাননাকর ও উদ্ভট প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ তাদের প্রচারণা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে।

পাঞ্জাব প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় একটি আসন থেকে লড়ছেন ইজাজ গাদ্দান। তার প্রতীক বিছানা। নির্বাচনী প্রচারে বিষয়টি রোমান্টিকভাবে তুলে ধরছেন তিনি। বলছেন, তার ভোটারদের ‘চূড়ান্ত বিশ্রামের জায়গা’ এটি। মনে হতে পারে, তাকে ঠিক প্রতীকটাই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ইজাজ বলেন, এসব প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে আমাদের হেনস্তা করার চেষ্টা করেছে তারা। কিছু প্রার্থী ভোটারদের নিজেদের প্রতীকের কথা বলতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন। এটা কোনো নির্বাচন নয়, এটা নিষ্ঠুরতা।

বোতল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকার একটি আসনে প্রার্থী হওয়া শেহরিয়ার আফ্রিদি। স্থানীয় পশতু ভাষায় কাউকে বোতল বা ‘খালি কলসি’ বলার মানে হলো ওই ব্যক্তি নীরস ও বোকাসোকা ধরনের।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম