জিম্মি মুক্তি নিয়ে যে প্রত্যাশা কাতারের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি
জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা নিয়ে ওয়াশিংটনের বদলা সত্ত্বেও জিম্মি মুক্তির আলোচনা ব্যাহত হবে না বলে আশা করছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি।
সোমবার ওয়াশিংটনভিত্তিক একটি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে দর্শকদের উদ্দেশে এই আশার কথা বলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, জর্ডানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের ড্রোন হামলার বদলা যদি যুক্তরাষ্ট্র নেয়, তাহলে কি ইসরাইল-হামাসের মধ্যকার সম্ভাব্য জিম্মি মুক্তির চুক্তি ভেস্তে যেতে পারে?
জবাবে শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান বিন জসিম আল থানি বলেন, আমি আশা করি, কোনো কিছুই আমাদের প্রচেষ্টাকে ক্ষুণ্ন বা প্রক্রিয়াটিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে না।
আটলান্টিক কাউন্সিলের অনুষ্ঠানে কাতারি প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্কিন বদলা অবশ্যই প্রভাব ফেলবে। কোনো না কোনোভাবে তা অবশ্যই আঞ্চলিক নিরাপত্তার ওপর প্রভাব ফেলবে। তবে তারা আশা করেন, বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সিরিয়ার সীমান্তবর্তী জর্ডানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয় বলে গত রোববার এক বিবৃতিতে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড। এই হামলায় ৩ মার্কিন সেনা নিহত হন, আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
গত অক্টোবরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম মধ্যপ্রাচ্যে হামলায় মার্কিন সেনা নিহত হলেন। এই ঘটনার জেরে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।
হামলার জন্য ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিজেদের ‘ইসলামিক রেসিস্ট্যান্স’ পরিচয় দিয়ে ইরাকের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
হামলার বদলা নিতে বাইডেনের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। যথাসময়ে হামলার জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাইডেন। তবে কোথায় ও কীভাবে জবাব দেওয়া হবে, সে বিষয়ে তিনি এখনো কিছু স্পষ্ট করেননি।