ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের রায় আজ
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:৪১ এএম
গাজায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধের জন্য অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে আজ শুক্রবার রায় দেবেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।
শুক্রবার রায়টি হবে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায়। সংস্থাটির এক্স অ্যাকাউন্টে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। খবর রয়টার্সের।
এর আগে অবশ্য আইসিজেতে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেখানে তেলআবিবের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ আনে দেশটি।
আরও পড়ুন: হুথি নেতাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা
রায়ে জরুরি আদেশ দিয়ে এই ধ্বংসলীলা থামানোর প্রত্যাশা করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই সংবাদ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিচার মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিসপিন ফিরি এক্সে এক পোস্ট বলেছেন, আদালত কখন এ রায় ঘোষণা করবেন, তা নিয়ে আদালতের সঙ্গে আমাদের আনুষ্ঠানিক কোনো যোগাযোগ নেই।
মামলায় শুনানি শুরু হয় গত ১১ জানুয়ারি। যদিও ইসরাইলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগকে মিথ্যা আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিযোগ, দক্ষিণ আফ্রিকা ‘ইসরাইলকে ধ্বংসের’ আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে দেশটির গণহত্যার দাবির ‘বাস্তব ও আইনগত ভিত্তি’ উভয়ই নেই বলে মন্তব্য করেছে দেশটি।
আরও পড়ুন: ইসরাইলকে বিচ্ছিন্ন করলেই আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করা সম্ভব: ইরান
অন্যদিকে আইসিজেকে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের অধিকারকে ‘আসন্ন অপূরণীয় ক্ষতির হাত থেকে’ রক্ষা করার জন্য ‘অস্থায়ী ব্যবস্থা’ গ্রহণ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
ইসরাইল ১৯৪৮ সালে গণহত্যার বিরুদ্ধে যে কনভেনশন হয়েছে সেটির স্বাক্ষরকারী দেশ। এতে গণহত্যাকে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্রগুলোকে এটি প্রতিরোধে বাধ্য করার কথা বলা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার হাইকোর্টের আইনজীবী টেম্বেকা এনগকুকাইতোবি আইসিজের আদালতে বলেন যে, ‘সামরিক হামলা চালানোর ধরন দেখেই ইসরাইলের ‘গণহত্যার অভিপ্রায়’ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে গাজাকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রটির সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।’
যদিও গাজায় সামরিক হামালাকে প্রথম থেকেই ‘যুক্তিযুক্ত’ বলে দাবি করে আসছে ইসরাইল। তেলআবিবের দাবি, হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে এই আক্রমণ করছে তারা।