Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

ঘুম ভাঙতেই লাশের সন্ধানে বের হন গাজাবাসী

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম

ঘুম ভাঙতেই লাশের সন্ধানে বের হন গাজাবাসী

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা এখন মৃত্যু উপত্যকা। চারদিকে লাশের পাহাড়। হাটে-মাঠে-পথে, ধ্বংসস্তূপের নিচে- সবখানেই শুধু লাশ আর লাশ। কপাল জোরে বেঁচে থাকা গাজাবাসীর প্রধান কাজও এখন লাশ খুঁজে বেড়ানো! মা-বাবা, ভাই-বোন অথবা প্রিয়জনের লাশ! 

ইসরাইলের হামলায় কে কোথায় কখন মরে পড়ে আছে কিংবা কোথায় চাপা পড়ে আছে সারা দিন সেই চিন্তায়ই দিন যায় সবার। শুরু হয় সকাল থেকেই। ঘুম ভাঙলেই লাশের সন্ধানে বের হন অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা। ইট-কংক্রিটের ধূসর ধুলোয় শিশুরা খুঁজে বেড়ায় নিজেদের প্রিয় খেলনা বা পছন্দের জিনিস। কিশোররা তাদের স্কুলের বই। বাবা-মা সন্তানের জন্য খাবার এবং বয়স্করা তাদের হারিয়ে যাওয়া ছেলে, মেয়ে এবং নাতি-নাতনিদের!

গাজার এক বাস্তুচ্যুত ৬০ বছর বয়সি আবু রুহমি। জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি তার ছেলে, পুত্রবধূ এবং দুই নাতির সঙ্গে থাকতেন। রুহমি বলেন, ‘আমি শাদির অ্যাপার্টমেন্টে থাকতাম, আমার একমাত্র ছেলে।’ সাত সপ্তাহ আগে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার। ছলছল চোখে রুহমি আরও বলেন, ‘আমি শুনেছি তারা সবাই নিহত হয়েছে। ছেলের স্ত্রী রাজান নিহত হওয়ার সময় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তারা সবাই গাজার বাইরে একটি ভবিষ্যতের জন্য আশা করেছিল এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল।’ কিছুক্ষণ উদাসীনভাবে চুপ থেকে রুহমি আরও বলেন, ‘এখন আমি তাদের লাশ খুঁজে পাচ্ছি না। তাদের কেউ আর নেই।’ 

ইসরাইলরা প্রতিদিনই নিজেদের ইচ্ছেমতো গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা করে। যারা দক্ষিণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে তাদের সেখানেই থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। রাস্তাঘাট অবরোধ করা হচ্ছে। উত্তরে এবং গাজার কেন্দ্রের বাসিন্দাদের বাসস্থানে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বাড়ি ফেরার চেষ্টায় লোকজনকে গুলি করে মারার খবর এখন প্রায় প্রতিদিনের ঘটনা।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম