Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

রামমন্দিরের অনুষ্ঠানে যাননি বিরোধী নেতারা

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৪৫ পিএম

রামমন্দিরের অনুষ্ঠানে যাননি বিরোধী নেতারা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করেছেন। দেশটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অন্তত ৮ হাজার অতিথি আয়োজনে অংশ নেন। 

এছাড়া ৫০৬ জনের আমন্ত্রিত তালিকায় রাজনীতিবিদ, শীর্ষস্থানীয় অতিথি, তারকা, কূটনীতিবিদ, বিচারক, মহাযাজকও উপস্থিত ছিলেন।

রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রীরা যাননি। অনেকেই নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারবেন না আগেই জানিয়েছিলেন। আবার অনেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে মেরুকরণের অভিযোগ তোলেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন কংগ্রেস নেতারা। তবে সেই অনুষ্ঠানে যাননি সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা। 

এদিন ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রার নেতৃত্ব দিতে আসামে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সেখানেই একটি মন্দিরে ঢুকতে গিয়ে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন তিনি। 

আরও পড়ুন: বাবরি মসজিদ: ফিরে দেখা ইতিহাস

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে দুপুর ৩টা পর্যন্ত কেউ আজ মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন না। এরপরই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ইঙ্গিত করে কটাক্ষের সুরে রাহুল বলেন, আজ মনে হয় একজনই মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবেন।

বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না যাওয়ার তালিকায় রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব। তিনি আগেই জানিয়েছিলেন ২২ জানুয়ারি তার পক্ষে অযোধ্যায় যাওয়া সম্ভব নয়, পরে অন্য কোনো সময় তিনি মন্দিরে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, আমি আগেই বলেছি, রামমন্দিরে যাওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিনের প্রয়োজন নেই। হৃদয়ে রয়েছেন রাম।

একই তালিকায় রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এদিন ‘সংহতি মিছিলের’ ডাক দিয়েছিলেন তিনি।

মমতা বলেছিলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমি সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের মিছিল করছি। সেখানে থাকবেন সমস্ত ধর্মের মানুষ। তাদের প্রত্যেককে শ্রদ্ধা জানিয়ে হবে আমাদের কর্মসূচি।”

এ কর্মসূচিতে বাউল, মুরশিদী ও ফকিরি গানের একাধিক গোষ্ঠী ও শিল্পীরা অংশ নিয়েছেন। রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ সনাতন ব্রাহ্মণ ট্রাস্টের সদস্যরা।

সংহতি মিছিলের প্রাক্কালে রোববার নিজের এক্স হ্যান্ডলে একটি বার্তা দিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি লিখেছেন- মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার যা-ই হোক, ঘৃণা, হিংসা ও নিরীহ মানুষের লাশের ওপর তৈরি কোনো উপাসনাস্থল মেনে নিতে আমার ধর্ম আমায় শেখায়নি।

এদিকে রামমন্দির উদ্বোধনের দিন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা স্কুল, কলেজ এবং অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে হাফ ছুটির ঘোষণাকে ঘিরে আগেই আলোচনা চলছিল। এরপর রামমন্দিরের অনুষ্ঠান ‘লাইভ সম্প্রচারকে’ ঘিরে আবার বিতর্ক শুরু হয়।

অবশ্য তামিলনাড়ুর ডিএমকে সরকার রামমন্দিরের অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচারে সম্মতি দেয়নি।

এছাড়া দক্ষিণ ভারতে বিজেপি যেখানে ক্ষমতায় নেই, এমন রাজ্যগুলোতে রামমন্দির প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণার আহ্বানে সাড়া দেয়নি।

তবে রামমন্দির প্রতিষ্ঠাকে একটি ‘সামাজিক উৎসব’ হিসেবে দেখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছে কলকাতার নাখোদা মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

এ উৎসব নিয়ে নাখোদা মসজিদ কর্তৃপক্ষ মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করেছে- অনুষ্ঠান নিয়ে যেন কোনো খারাপ মন্তব্য ও বিরোধিতা না করা হয়।

আরও পড়ুন: যে কারণে রামমন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাননি তিন খান

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম