৭ অক্টোবর ইসরাইলে চালানো হামলায় কিছুটা ভুল ছিল: হামাস
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৩৭ এএম
ইসরাইলি সীমানা এলাকার দিকে যাচ্ছে হামাস সশস্ত্র সদস্যরা। ফাইল ছবি
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে চালানো হামলা ভুল ছিল বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
তবে স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি বলছে, তারা ইসরাইল সেনাবাহিনী এবং বন্দুকধারী ছাড়া কাউকে লক্ষ্যবস্তু বানায়নি। খবর আলজাজিরা
রোববার ‘আওয়ার ন্যারেটিভ’ শিরোনামে ১৬ পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে হামাস।
সেখানে বলা হয়েছে, ইসরাইলে ‘আল আকসা ফ্লাড’ নামে চালানো হামলার বিষয়ে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাই।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালানোর পর এই প্রথম জনসম্মুখে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হামাস।
এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সব ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে হামলা চালানো বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর সকালে ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরে ইতিহাসের স্মরণকালের ভয়াবহ হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিল বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।
হামলার পর গত বছরের নভেম্বরে কাতারের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরাইল। ওই সময়ে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি শতাধিক ফিলিস্তিনি মুক্তির বিনিময়ে ১০০ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস।
তখন ইসরাইল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে, হামাস হামলার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ করেছে। এ ছাড়া জিম্মিদের নির্যাতনের পাশাপাশি ধর্ষণও করেছে। তবে হামাস ইসরাইলের এ অভিযোগ অস্বীকার করে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাস ইসরাইল সেনাবাহিনীকে টার্গেট করার পাশাপাশি সৈন্যদের আটক করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কারণ এর মাধ্যমে ইসরাইলের কারাগারে বন্দি থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মুক্তিতে তেলআবিবকে চাপ দেওয়া যাবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলায় সেদিন ‘ইসরাইলি নিরাপত্তা ও সামরিক ব্যবস্থা দ্রুত ভেঙে পড়া এবং গাজার সীমান্ত এলাকায় বিশৃঙ্খলার কারণে কিছু ত্রুটি ঘটেছে। অনেক ইসরাইলি বিভ্রান্তির কারণে তাদের পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে।
হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা চালায় ইসরাইল। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলের ক্রমাগত হামলায় ২৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। অন্যদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় ইসরাইল যেভাবে মানুষ হত্যা করছে, তা যুদ্ধাপরাধের শামিল।