মেঝেতে ঘুমাচ্ছেন মোদি, পান করছেন নারিকেলের পানি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম
ভারতের অযোধ্যায় রামমন্দিরে আগামী ২২ জানুয়ারি প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুরু করেছেন ১১ দিনের ব্রত পালন। এ লক্ষ্যে ১২ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে মোদি ‘ব্রত পালনের’ নিয়ম মেনে দিনের বেশ কিছু সময় ‘নীরব’ থাকছেন। পালন করছেন মৌনতা। কৃচ্ছ্রসাধনের সঙ্গে থাকছে জপ, ধ্যান এবং পূজাপর্বও। সেই সঙ্গে পালন করছেন তার প্রিয় যোগচর্চা। খবর এনডিটিভি, টিএনএন, আনন্দবাজার পত্রিকার।
নরেন্দ্র মোদির ১১ দিনব্যাপী ‘ব্রত পালনের’ রীতিতে তপস্যা এবং শরীর-মন পরিষ্কারের বিষয় রয়েছে। ধ্যান এবং ‘সাতভিক’ খাওয়ার মাধ্যমে শরীর-মন দুটোই পরিষ্কার হয়। এই সাতভিক পেঁয়াজ, রসুন এবং অন্যান্য খাদ্যপণ্য ছাড়া তৈরি করা হয়। রীতি অনুযায়ী, রামমন্দির উদ্বোধনের আগে পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বাংলোর মেঝেতেই মোদি কেবল একটি কম্বল বিছিয়ে ঘুমাচ্ছেন। আর পানীয় হিসাবে পান করছেন শুধুমাত্র নারিকেলের পানি।
১১ দিনের ব্রত পালন পর্বে ভোরের ‘ব্রাহ্মমুহূর্তে’ মোদি শয্যা ত্যাগ করছেন। এরপর চলছে তার যোগ, শরীরচর্চা এবং ধ্যানপর্ব। ‘ব্রত পালনে’র নিয়ম মেনে পূজার্চনার পাশাপাশি, ১১ দিন ধরে তিনি নিয়মিত নানা হিন্দু ধর্মগ্রন্থ পাঠ করছেন। গোপূজার সঙ্গে সঙ্গে তিনি দৈনিক নিয়মিত গরুকে খাবার দিচ্ছেন। আর দান ধর্ম পালনের অংশ হিসাবে মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রী মোদি অন্ন ও বস্ত্র বিতরণ করছেন। একজন একনিষ্ঠ রামভক্ত হিসাবে মোদি গত কয়েক দিনে নাসিক, অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরালাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য মন্দির পরিদর্শন করেছেন।
ব্রত পালন শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন, ‘রামমন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হতে আর মাত্র ১১ দিন বাকি। প্রাণ প্রতিষ্ঠার সময় ভারতবাসীর প্রতিনিধিত্ব করতে ঈশ্বর আমাকে প্রস্তুত করেছেন। এ কথা স্মরণে রেখে আমি আজ থেকে ১১ দিনের বিশেষ ব্রত পালন শুরু করছি।’
আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠার’ জন্য পূজা দেবেন মোদি। লক্ষ্মীকান্ত দিক্ষিতের নেতৃত্বাধীন পুরোহিতের একটি দল প্রাণ প্রতিষ্ঠা পূজার মূল রীতিনীতিগুলো পালন করবেন। মন্দির কমিটি বলেছে, ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ মানে মূর্তিকে ঐশ্বরিক চেতনায় আত্মসাৎ করা এবং মন্দিরে পূজা করা প্রতিটি মূর্তির জন্য এটি অপরিহার্য। এর জন্য শুভ সময় ২২ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টা।
অযোধ্যার রামমন্দিরে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এনডিটিভি জানিয়েছে, এরই মধ্যে মন্দিরের ভেতর রামের একটি মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এতে রামের ছোটবেলার (পাঁচ বছর বয়সি) প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। রামমন্দির অভিষেক অনুষ্ঠান সরাসরি প্রত্যক্ষ করবেন ১১ হাজার অতিথি। দেশ-বিদেশের এসব অতিথিকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছে মন্দির ট্রাস্ট বিভাগ। কেন্দ্রীয় সরকার সব অফিসে অর্ধেক বেলা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
অভিষেক অনুষ্ঠানের কারণে সারা দেশের মন্দিরগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন মোদি। গত সপ্তাহে, তিনি নিজেই ‘স্বচ্ছতা অভিযান’-এর অংশ হিসাবে মহারাষ্ট্রের নাসিকের কালারাম মন্দিরের প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করেছেন।