তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান। ছবি: সংগৃহীত
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের একটি ঘাঁটিতে মঙ্গলবার হামলা চালিয়েছে ইরান। এতে নিহত হয় অন্তত চারজন। প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ইরানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে এখন পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুদেশের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা চলছে।
ইরান ও পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান জানিয়েছেন, উভয় দেশই ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বাড়াতে চায় না।
জর্ডানে এক সংবাদ সম্মেলনে ফিদান আরও বলেন, দুদেশেরই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফিরিয়ে আনা উচিত।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ইরানে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হলো।
চলমান সংঘাতের বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, পাকিস্তান অবশ্যই ইরানের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে। তবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না।
এ সময় তিনি আরও বলেন, সকল প্রকার সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলা করার মতো ক্ষমতা পাকিস্তানের আছে।
ইরান পাকিস্তান ইস্যুতে এবার পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি বলেছেন, পাকিস্তান বিশ্বের সব দেশের ভৌগলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বকে সম্মান করে, তেমনি সব রাষ্ট্রের কাছৃ থেকে নিজেদের নিরাপত্তা আশা করে। এর ব্যত্যয় ঘটলে জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবে না পাকিস্তান।
এদিকে ভারতও পাকিস্তান-ইরান ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে, তারা বলছে, এটি দুই প্রতিবেশীর অভ্যন্তরীণ বিষয়।
এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল বলেন, এটি ইরান ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিষয়। তবে ভারত সন্ত্রাসবাদের প্রতি সবসময়ই আপসহীন।
আরও পড়ুন: