ছবি: সংগৃহীত
কোনো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বুঝতে হলে সেদেশের সোনার মজুদের পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ একটি দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, নাকি কোনো বিপদের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে, তা নির্ধারণে সোনার মজুত বিশেষ ভূমিকা রাখে। বিশেষত অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময় তা আরও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
১৮ শতকের শেষের দিকে ও পরবর্তী শতকের উল্লেখযোগ্য সময়জুড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার এই স্বর্ণমান ব্যাপকভাবে গ্রহণ করে। বিখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ব্যবস্থা যেসব দেশে চালু হয়েছিল, তারা তাদের নিজস্ব মুদ্রার মান নির্দিষ্ট পরিমাণ স্বর্ণ হিসেবে প্রকাশ করে।
গত শতকের সত্তরের দশকে এ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দেওয়া হয়। তবে অনেক দেশ এখনো সোনার মজুত করে চলেছে। বিশেষ করে, সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বেড়ে যাওয়ায় মূল্যবান ধাতুটির মজুতও ক্রমেই বাড়তির দিকে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আবারও নিরাপদ প্রাথমিক সম্পদ হিসেবে সোনার ওপর আস্থা বাড়াচ্ছে। লন্ডনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) সম্প্রতি জানিয়েছে, কোন দেশের কাছে সবচেয়ে বেশি সোনা মজুত আছে। এই হিসাব ২০২৩ সালের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) শেষে করা হয়।
ডব্লিউজিসির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সোনা মজুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন সোনা মজুত রয়েছে।
ইউরোপের দেশ জার্মানি রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে। দেশটির মজুত প্রায় তিন হাজার টনের বেশি সোনা। জার্মানির পর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। দেশটির রয়েছে প্রায় দুই হাজার টনের বেশি সোনা। এর কাছাকাছি অবস্থা ফ্রান্সের।
তালিকায় পরের তিনটি দেশ হলো— রাশিয়া, চীন ও সুইজারল্যান্ড। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও চীনের কাছে দুই হাজার টনের বেশি সোনা আছে। এক হাজার টনের বেশি সোনা আছে সুইজারল্যান্ডে।
অষ্টম, নবম ও দশম অবস্থানে যথাক্রমে জাপান, ভারত ও নেদারল্যান্ডসের নাম রয়েছে।