দাঙ্গা ঠেকাতে পাপুয়া নিউনিগিতে ১৪ দিনের জরুরি অবস্থা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
দাঙ্গা ঠেকাতে এবার জরুরি অবস্থার পথ বেছে নিল প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারেপ। বুধবার দাঙ্গা ও লুটতরাজের মুখে দেশটির অন্তত ১৫ নাগরিকের প্রাণ গেছে। এরপরই বৃহস্পতিবার ১৪ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন তিনি। শুক্রবার সকাল থেকেই দেশটির বিভিন্ন সড়কে সেনাবাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান
দেশটির রাজধানী পোর্ট মোর্সবিতে বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ ও সরকারি চাকরিজীবীরা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ করেছেন। এরপরই রাজধানীতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষুব্ধ লোকজন সেখানকার বাড়িঘর, গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন, দোকানপাট ভাঙচুর করেন।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এর জের ধরে রাজধানী থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে লে শহরেও দাঙ্গা শুরু হয়। এসব সহিংসতা ও দাঙ্গায় ১৫ জন নিহত হন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারেপ বৃহস্পতিবার বলেছেন, যেখানে প্রয়োজন, সেখানে ব্যবস্থা নিতে এক হাজারের বেশি সৈন্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সর্বশেষ বেতন চেকে দেখা যায় তাদের বেতন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এরপরই পুলিশ ও অন্য সরকারি কর্মকর্তারা বুধবার পার্লামেন্টের বাইরে বিক্ষোভ ধর্মঘট করেন। যদিও কর্তৃপক্ষ বলেছে, কম্পিউটারের ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে।
আগে থেকেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় এ দ্বীপরাষ্ট্রটি উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্বের সংকটে ভুগছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেমস মারেপ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, আইন ভঙ্গ করে বিশেষ কিছু আদায় করা যায় না।
পোর্ট মোর্সবি জেনারেল হাসপাতাল নিশ্চিত করেছে রাজধানীতে আটজন নিহত হয়েছেন। আর অন্য সাতজন দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লেতে নিহত হয়েছেন বলে বলা হচ্ছে।
ন্যাশনাল ক্যাপিটাল ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর পউস পার্কোপ রেডিওতে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, আমরা আমাদের দেশে নজিরবিহীন দাঙ্গা দেখছি, এর আগে আমাদের দেশ ও শহরের ইতিহাসে এ ধরনের কোনো কিছুই ঘটেনি। লুটপাট করছে ‘সুযোগসন্ধানীরা’। বিক্ষোভকারী কিছু পুলিশের দ্বারাও কিছু সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
বেতনের প্রসঙ্গে জেমস বলেন, কম্পিউটারের ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে। ভুলে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত কেটে নেওয়া হয়েছিল। পরের মাসের বেতনেই এই ভুল ঠিক করে দেওয়া হবে।
তবে প্রেসিডেন্টের এই উত্তর অনেক বিক্ষোভকারীকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, অনেকে পার্লামেন্ট ভবনে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন। কেউ কেউ প্রধানমন্ত্রীর কম্পাউন্ডের বাইরে একটি গাড়িতে আগুন দেন এবং একটি ফটক গুঁড়িয়ে দেন।