এপস্টাইনের নারী পাচারের মামলায় এবার হিলারি ক্লিনটনের নাম
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫২ পিএম
জেফ্রি এপস্টাইন ও গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল দম্পতির মানবপাচার মামলা সম্পর্কিত নথির তৃতীয় অংশ ফাঁস হয়েছে। শুক্রবার ফাঁস হওয়া নথিতে বাদী ভার্জিনিয়া জিউফ্রে ও জোহানা জোবার্গের দেওয়া সাক্ষ্যে ‘১৩ ক্ষমতাধর সাক্ষীর’ মধ্যে সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের নামও উঠে এসেছে। খবর এনডিটিভির।
জিউফ্রে এপস্টাইন ও ম্যাক্সওয়েল পাচারকৃত অসংখ্য অপ্রাপ্তবয়স্ক নারীদের মধ্যে একজন। ২০১৫ সালে জিউফ্রে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মানবপাচারের শিকার হওয়া নিয়ে মামলা করেন।
নতুন প্রকাশিত নথিতে এপস্টাইনের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাক্ষ্যের উদ্ধৃতি রয়েছে। এ বন্ধুরা তাকে মানবপাচার কারবার পরিচালনা করতে সাহায্য করেছিলেন। জিওফ্রে ও জোবার্গের অধিকতর জবানবন্দিতে এপস্টাইন ও ম্যাক্সওয়েলের মানবপাচারের কারবারে কিভাবে কিশোরীদের ফাঁদে ফেলা হতো তা নিয়ে আরও বিস্তারিত রয়েছে।
নতুন এ নথি অনুসারে, ভার্জিনিয়া জিউফ্রের উল্লেখিত ১৩ জন নির্দিষ্ট সাক্ষীর মধ্যে হিলারি ক্লিনটনও রয়েছেন। আদালতে দাখিল করা এ নথিতে অবশ্য তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।
যৌন ব্যবসায়ী এপস্টেইনের সঙ্গে ক্লিনটন, ট্রাম্পসহ যাদের নাম জড়িয়ে গেলযৌন ব্যবসায়ী এপস্টেইনের সঙ্গে ক্লিনটন, ট্রাম্পসহ যাদের নাম জড়িয়ে গেল
এপস্টাইনের সাবেক গৃহপরিচারিকা হুয়ান অ্যালেসি বলেন, প্রিন্স অ্যান্ড্রু প্রায়ই এপস্টাইনের পাম বিচ হোমে থাকতেন। সেখানে তিনি প্রত্যেকদিন ম্যাসাজ নিতেন। নথিতে আরও বলা হয়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এপস্টাইনের সাউথ ফ্লোরিডার বাড়িতে যেতেন। তবে, ট্রাম্প কখনোই ওই বাড়িতে অবস্থান করেননি উল্লেখ করেন জুয়ান।
পেডো আইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত ফাঁসকৃত নথি অনুসারে, যৌনদাসী হিসেবে আনা প্রত্যেক মেয়ের বিনিময়ে ২০০ ডলারে চুক্তি করতেন এপস্টাইন। বেশ কিছু মেয়ে তাকে ম্যাসেজ করার বিনিময়ে টাকা পেয়েছে।
গত বুধবার থেকে মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত ১৮০ টিরও বেশি নথি ফাঁস হয়েছে। ২০১৯ সালে জুলাইয়ে এপস্টাইনের বিরুদ্ধে যৌন দাসত্ব ও মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়। তবে বিচারকার্য শুরু হওয়ার আগেই তিনি ম্যানহাটনের কারাগারে আত্মহত্যা করেন। একই অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন ম্যাক্সওয়েল।
মার্কিন আদালত বলছে, ধনসম্পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে এপস্টাইন কিশোরীদের যৌন নিপীড়ন করতেন।