![দক্ষিণে ২০০ কামানের গোলা উ. কোরিয়ার](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2024/01/05/image-759572-1704470662.jpg)
নববর্ষ বার্তায়ই সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকতে বলেছিলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। বছরের যে কোনো সময় শত্রুরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন সেদিন। নতুন বছরের ঠিক ৫ দিনের মাথায় সেই আলামতই দেখালেন কিম। দক্ষিণ কোরিয়ায় সীমান্ত দ্বীপ ইওনপিয়ংয়ে নতুন করে হামলা চালাল উত্তর কোরিয়া।
শুক্রবার অঞ্চলটিতে ২০০টি কামানের গোলা নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং। এ ঘটনায় ভীতস্বতন্ত্র হয়ে পড়েছেন সীমান্তের কাছাকাছি থাকা বাসিন্দারা। বেসামরিকদের ইতোমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এএফপি।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী শুক্রবার সকাল প্রায় ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কেপ জাংসান, বায়েংনিয়ং দ্বীপের উত্তরে এবং কেপ সানসান, ইয়েনপিয়ং দ্বীপের উত্তরে ২০০টিরও বেশি আর্টিলারি সেল ছুড়েছে।’ গোলাগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি। দুই দেশের মধ্যবর্তী বেসামরিক অঞ্চলে পড়েছে।
প্রায় এক বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো এ ধরনের ‘হামলা’ চালাল উত্তর কোরিয়া। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের সামরিক শক্তি দেখাতেই এই রণমূর্তি উত্তর কোরিয়ার। কিম জং উনের এই পদক্ষেপকে উসকানিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা।
এমনকি প্রতিক্রিয়ায় অনুরূপ একটি পালটা মহড়ার পরিকল্পনাও করছে দেশটি। এ ঘটনায় দুই কোরিয়ার মধ্যে শত্রুতা আরও গভীর করবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। দুই দেশের মধ্যকার এমন উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনায় ‘সংযম’ থাকার আহ্বান জানিয়েছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা আশা করি যে, সংশ্লিষ্ট পক্ষ শান্ত ও সংযম বজায় রাখবে। উত্তেজনা বাড়ায় এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকবে। পরিস্থিতির উত্তেজনা এড়াতে অর্থবহ সংকলাপের দিকে এগিয়ে যাবে।’ ২০১৮ সালে দুই কোরিয়ার সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে একটি সামরিক চুক্তি সই করা হয়েছিল।
ওই চুক্তিতে বলা হয়, দুই কোরিয়াকে তাদের সীমান্তে স্থাপিত নো-ফ্লাই এবং বাফার জোনে লাইভ-ফায়ার অনুশীলন এবং এরিয়াল নজরদারি বন্ধ করতে হবে। তবে নভেম্বরে উত্তর কোরিয়া প্রথম সামরিক স্পাই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করলে দুই কোরিয়ার মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। এতে করে সামরিক এই চুক্তিটি ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।