কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকীতে হামলা, ঘাতকদের কঠোর হুশিয়ারি দিল ইরান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১৫ এএম
ছবি: সংগৃহীত
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জড়িতদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনার হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কেরমান শহরে কাসেম সোলাইমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার সমাধিস্থলে জড়ো হওয়া মানুষের ওপর এই বোমা হামলা চালানো হয়। জোড়া বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১০৩ জন। আহত প্রায় ১৭১ জন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তবে ঠিক কীভাবে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, তা বিস্তারিত জানা যায়নি।
একে বর্বরোচিত হামলা উল্লেখ করে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি এক বিবৃতিতে বলেন, নিঃসন্দেহে এটি ঘৃণিত, কাপুরুষোচিত ও অমানবিক কাজ। অপরাধীদের শিগগিরই চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা। এ বিষয়ে নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, শত্রুদের মনে রাখা উচিত, এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা ইরানি জাতির লৌহ কঠিন মনোবলে ফাঁটল ঘটাতে পারবে না।
এদিকে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ ভাহিদি বলেন, ‘ঘৃণিত শত্রুরা আমাদের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক লড়াই শুরু করেছে। সবাইকে বলব— আপনারা কোনো গুজবে কান দেবেন না।
জোড়া বিস্ফোরণে নিহতদের স্মরণে আজ বৃহস্পতিবার ইরানে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হবে।
সোলেইমানির মাজার জিয়ারতকারীদের পথে এ বিস্ফোরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রদেশিক গভর্নরের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জানিয়েছেন দুটি বিস্ফোরণই ছিল সন্ত্রাসী হামলা।
আরও পড়ুন: ইরানে জোড়া বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ১০৩
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্ত হামলায় নিহত হন কাসেম সোলাইমানি। প্রতিবেশী দেশ ইরাকে এ হামলা চালানো হয়।
দেশটির শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পরেই সোলাইমানির অবস্থান বলে ধরা হয়। তিনি দেশটির কুদস ফোর্সের দায়িত্বে ছিলেন যেই গোপন বাহিনী ইরানপন্থি হামাস ও হেজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সামরিক প্রশিক্ষণসহ সহায়তা দিয়ে থাকে।
তবে তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোলাইমানিকে শীর্ষ সন্ত্রাসী উল্লেখ করে বিবৃতি দেন। তাকে হত্যার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।