ভারত মহাসাগরে ট্যাংকারে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান: যুক্তরাষ্ট্র
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫১ পিএম
ইরান থেকে ছোড়া একটি ড্রোন শনিবার ভারত মহাসাগরে রাসায়নিক একটি ট্যাংকারে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর- পেন্টাগন।
সিএইচইএম প্লুটো নামের ওই ট্যাংকারে আগুন নিভিয়ে ফেলা হয়েছে। হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি।
ইরান এ হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। সম্প্রতি ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি গোষ্ঠী লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে ড্রোন এবং রকেট হামলা জোরদার করেছে।
তবে ভারত মহাসাগরে এমন হামলা এটিই প্রথম, বলছে মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম আম্ব্রে। একই কোম্পানি আরও জানায়, ট্যাংকারটি সৌদি আরব থেকে ভারত যাচ্ছিল। ইসরাইলের সঙ্গে ট্যাংকারটির সংশ্লিষ্টতা ছিল।
গাজায় ইসরাইলের হামলার জেরে হুতিরা ইসরাইলমুখী কিংবা ইসরাইলের পতাকাবাহী যে কোনো জাহাজেই হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র জানায়, সিএইচইএম প্লুটোতে আঘাত হানে ইরান থেকে ছোড়া ওয়ান-ওয়ে অ্যাটাক ড্রোন। জাহাজে হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম সরাসরি ইরানকে অভিযুক্ত করল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোর ওপর হামলা চালানোর জন্য ইরান ছক কষায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছিল।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড বাহিনী অবশ্য সতর্ক করে দিয়ে বলেছে,গাজায় যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্ররা অপরাধ করে যেতে থাকলে তারা লোহিত সাগর ছাড়াও অন্যসব সাগরপথ বন্ধ করে দিতে পারে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন বলেছে, সিএইচইএম বা ‘কেম প্লুটো’ ট্যাংকারটি জাপানের মালিকানাধীন লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এবং নেদারল্যান্ডসের পরিচালিত রাসায়নিকের ট্যাংকার ছিল।
শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ইরান থেকে ছোড়া ড্রোন এটিতে আঘাত করে। ভারত উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে ড্রোনটি ট্যাংকারে আঘাত করে।
এতে ট্যাংকারটির কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) বলেছে, ভারতের গুজরাট রাজ্যের ভেরাভাল নগরীর ২০০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে ঘটনাটি ঘটেছে।
মেরিটাইম সিকিউরিটি ফার্ম আম্ব্রে বলছে, হামলাটি যে জায়গায় হয়েছে সে এলাকাটি ‘ইরানের ড্রোন হামলার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ’ এলাকা।
হামলার পর ভারত সেখানে সাহায্যের জন্য নৌবাহিনী এবং যুদ্ধজাহাজ পাঠায়। পেন্টাগনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে ২০২১ সালের পর ইরান এ নিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজে সপ্তমবারের মতো হামলা চালাল।
এই ঘটনায় গত ৭ অক্টোবরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়া এবং জাহাজ চলাচল পথের জন্য নতুন ঝুঁকিই সামনে এসেছে।