হামাসের সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গ খুঁজে পাওয়ার দাবি ইসরাইলের
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:০১ পিএম
গাজা সীমান্তের কাছে ‘হামাসের সবচেয়ে বড় সুড়ঙ্গ’ খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছে ইসরাইল। দেশটি বলছে, সুড়ঙ্গটি হামাসের অন্যান্য সুড়ঙ্গের মত সরু নয়। বরং বেশ চওড়া ওই সুড়ঙ্গটি কংক্রিট ও লোহার গার্ডার দিয়ে তৈরি।
এটি গাজা থেকে সরাসরি সীমান্তে গাড়িতে করে হামাস যোদ্ধাদের বহন করে নিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
এরেজ সীমান্ত ক্রসিং থেকে মাত্র একশ মিটার দূরে এ সুড়ঙ্গটির প্রবেশমুখের সন্ধান মিলেছে। এটির দৈর্ঘ্য চার কিলোমিটারের বেশি। সুড়ঙ্গটি কোণাকুণি মাটির ৫০ মিটার গভীর পর্যন্ত চলে গেছে। যেখানে সুড়ঙ্গটির উচ্চতা প্রায় ১০ ফুটের মত এবং চাওড়া প্রায় ১০ ফুট। সুড়ঙ্গে বিদ্যুৎ সংযোগও রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামালার দিন হামাস যে সাইটগুলোর দখল নিয়েছিল তার মধ্যে ছিল গাজা ও ইসরাইলের মাঝে অবস্থিত এই এরেজ সীমান্ত ক্রসিং।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর প্রধান মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, পুরো চার কিলোমিটার দীর্ঘ এ সুড়ঙ্গ দিয়ে খুব সহজে উত্তরের গাজা সিটিতে পৌঁছে যাওয়া যায়। গাজা সিটি এক সময় হামাস প্রশাসনের কেন্দ্রস্থল ছিল। যেটি এখন বিধ্বস্ত এক যুদ্ধাঞ্চল।
তিনি বলেন, এ সুড়ঙ্গ বানাতে বহু বছর সময় লেগেছে। লাখো ডলার ব্যয় হয়েছে। এর ভেতর দিয়ে অনায়াসে গাড়ি চালানো যাবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকে ইসরাইলের এ দাবির বিষয়ে হামাসের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু হামাস নেতাদের সাড়া মেলেনি।
গাজা ভূখণ্ডটি দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সেখানে পণ্য ও ব্যক্তির প্রবেশ কিংবা সেখান থেকে বের হওয়ার জন্য ইসরাইলের অনুমতি দরকার হয়। এমন পরিস্থিতিতে গাজায় গোপনে পণ্য আনা-নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপায় এসব সুড়ঙ্গ।
ইসরাইল মনে করে, হামাসের সশস্ত্র কর্মকাণ্ড পরিচালনার অন্যতম কেন্দ্র গাজার এ সুড়ঙ্গগুলো। ৭ অক্টোবর ইসরাইলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলার পর থেকে এসব সুড়ঙ্গ ধ্বংসে উঠেপড়ে লেগেছে ইসরাইলি বাহিনী। এ জন্য সাগরের পানি সুড়ঙ্গে ভরার কাজ শুরু করা হয়েছে। এ কাজে ‘সফলতা’ আসতে শুরু করেছে বলে দাবি ইসরাইলি বাহিনীর।