Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

পশ্চিমতীরে হামাসের প্রতি ফিলিস্তিনিদের সমর্থন বাড়ছে

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৫৯ পিএম

পশ্চিমতীরে হামাসের প্রতি ফিলিস্তিনিদের সমর্থন বাড়ছে

ছবি: সংগৃহীত

হামাস ইসরাইল সংঘাত শুরুর পর থেকে একের পর এক ইসরাইলি সেনারা পশ্চিমতীরে অভিযান চালিয়ে আসছে। থেমে থেমে এ অভিযান আরও জোরদার করেছে ইসরাইল। ইসরাইলে হামাসের সর্বশেষ হামলার আগে উত্তরাঞ্চলীয় শহর জেনিন কেন্দ্র করে এ অভিযান চলত। তবে এখন তা সাপ্তাহিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

জেনিন শরণার্থী শিবিরের বাইরে বন্ধ রাস্তাগুলোতে দেখা যায় সামরিক বাহিনীর জিপগাড়ি ও সশস্ত্র বুলডোজারগুলোকে। পুরো শহরজুড়ে বিস্ফোরণ আর গুলির শব্দ প্রতিধ্বনিত হতে থাকে।

গত মঙ্গলবারও পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযানে ছয়জন নিহত হন। এদের মধ্যে চারজন মারা যান ড্রোন হামলায়। খবর বিবিসির।  

ইসরাইল অবশ্য বলছে, পশ্চিমতীরে তাদের এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর সদস্যদের লক্ষ্য করে, যাদের হাত ইসরাইলি নাগরিক হত্যার রক্তে রঞ্জিত।
তবে জেনিন হাসপাতালের পরিচালক উইসাম বাকের জানান, ১৩ বছরের গুরুতর অসুস্থ একটি শিশুকে চিকিৎসা সুবিধা নিতে বাধা দেওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছিল। 

তিনি বলেন, সর্বশক্তি দিয়ে জেনিনের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা এবং বেছে বেছে যুবকদের হত্যা করার ঘটনায় লোকজন আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। কেননা প্রতিদিন আমরা আমাদের বন্ধুদের একে একে হারাচ্ছি।

বাকের বলেন, এসব ঘটনা ইসরাইলের জন্য শান্তি বয়ে আনবে না। ফলে প্রতিরোধ দিনের পর দিন আরও জোরালো হবে।

গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের বন্দুকধারীরা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে প্রায় এক হাজার ২০০ লোককে হত্যা করে এবং আরও ২৪০ জনকে অপহরণ করে। এর পর ইসরাইলের পাল্টা হামায় ১৮ হাজার ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হন।

এর পর থেকে পশ্চিমতীরে ইসরাইলের হামলায় ৬৯ শিশুসহ ২৭১ ফিলিস্তিনি মারা যান। 

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, এদের প্রায় সবাই ইসরাইলি সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় মারা যান।

হামাসের হামলার পর পশ্চিমতীরে, বিশেষ করে নাবলুস ও জেনিনে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন বাড়ছে। পশ্চিমতীরের ক্ষমতাসীন দল ফাতাহর একজন যুবনেতা ও রাজনৈতিক গবেষক রায়েদ দেবাই বলেন, ‘লোকজনের মুখের ভাষায়, গাড়িতে চালানো গান কিংবা ফেসবুক বা সামজিক যোগাযোগমাধ্যম বা আমার ছাত্রদের বিতর্কে সব ক্ষেত্রেই আমি তাদের পক্ষের শক্তিকে দেখতে পাই।’

রায়েদ দেবাই বলেন, ‘ইসরাইলিদের আক্রমণ ফিলিস্তিনিদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করছে। লোকজন বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম এখন আগের তুলনায় হামাসের পক্ষে আরও বেশি করে সমর্থন দিচ্ছে। গত ৩০ বছরে নতুন প্রজন্মের সামনে কোনো আদর্শ ছিল না, কোনো শ্রদ্ধার পাত্র ছিল না। তবে এখন তারা অন্যরকম কিছু দেখছে, একটি নতুন গল্প তৈরি হচ্ছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম