পতিতাদের পেছনে দুহাতে টাকা ওড়ান বাইডেনের ‘নষ্ট ছেলে’
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪২ পিএম
রাষ্ট্রীয় আইনে শ্রদ্ধা, নারী সমাজের প্রতি সম্মান কিংবা নৈতিক চরিত্র কোনোটাই মজবুত নয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (৮১) পুত্র হান্টার বাইডেনের (৫৩)। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমল থেকেই (২০০৯-২০১৭) রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার পাদপীঠে থাকা বাবা বাইডেনের রাজনৈতিক প্রভাবেই কি বখে গেছেন হান্টার বাইডেন? এই প্রশ্নই এখন মুখে মুখে ঘুরছে দেশটির ঘরে ঘরে। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৯- টানা ৩৬ বছর যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ার রাজ্যের সিনেটর ছিলেন বাইডেন।
বাবার এই অধিক ক্ষমতার উত্তাপেই কি পুড়ে গেছে হান্টার বাইডেনের চরিত্র? সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যমগুলোতে হান্টার বাইডেনের পর্নো আসক্তি, সেক্স ক্লাব ও পতিতা বিলাসের পেছনে দুহাতে টাকা (ডলার) উড়ানোর খবর চাউর হতেই ছিঃ ছিঃ পড়ে গেছে চারদিকে।
বছরের পর বছর সরকারের লাখ লাখ ডলার কর ফাঁকিতে ব্যবসা করে গেছেন হান্টার। এ পর্যন্ত মেনে নিয়েছে মার্কিন নাগরিক সমাজ। কিন্তু ‘হোটেলে হোটেলে পতিতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবিসহ তার নষ্ট চরিত্রের আদ্যোপান্ত’ শিরোনাম হতেই ‘ইমেজ’ সংকটে পড়েছেন বাবা বাইডেন। সামনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন- চোখে সরষে ফুল দেখছেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক শিবিরও। ডেইলি মেইল, ফক্স নিউজ, বিবিসি।
হান্টার বাইডেনকে এবার ৯টি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এতে কর ফাঁকির তিনটি অপরাধ ও ৬টি অপকর্মের সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আদালতে ফৌজদারি অভিযোগগুলো দায়ের করেছেন মার্কিন জেলা আদালতের অ্যাটর্নি ডেভিস ওয়েইস।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে আমোদ-প্রমোদে মত্ত থাকতে লাখ লাখ ডলার খরচ করেছেন হান্টার বাইডেন। সব মিলিয়ে ৮ লাখ ৭২ হাজার মার্কিন ডলার ব্যয় করেছেন। নিজের নষ্ট জীবনের পেছনে মোটা অঙ্কের ডলার ঢাললেও, এ সময়ে ১৪ লাখ ডলার কর পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন। ফেডারেল কৌঁসলিরা অভিযোগ করেছেন, হান্টার বাইডেন কর পরিশোধ না করে সেসব অর্থ দিয়ে নোংরা কাজে লিপ্ত ছিলেন। বলেছেন, কর দেওয়ার পরিবর্তে দেহব্যবসা, অনলাইন পর্নোগ্রাফি, বিলাসবহুল গাড়ি, মাদক, এসকর্ট, দামি পোশাক ও ব্যক্তিগত প্রসাধনী কেনার জন্য লাখ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন।
শুধু ২০১৮ সালেই হান্টার প্রাপ্তবয়স্ক বিনোদন খাতগুলোতে ১ লাখ ডলার খরচ করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে। ‘পতিতা বিলাস’ লালসা চরিতার্থে মাত্র দুই রাতেই খরচ করেছেন ১১ হাজার ৫০০ ডলার। একটি অনলাইন পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইটে ২৭ হাজার ৩১৬ ডলার ব্যয় করেছেন। অভিযোগে আরও প্রকাশ করা হয়েছে, হান্টার বিলাসবহুল হোটেল, ফ্লাইট এবং গাড়ি ভাড়ার জন্যও হাজার হাজার ডলার খরচ করেছেন।
কর ফাঁকির এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে হান্টারের সর্বোচ্চ ১৭ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে মার্কিন বিচার বিভাগ। হোয়াট হাউজ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। হান্টারের আইনজীবী নতুন এই অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। হান্টারের বিরুদ্ধে এ নিয়ে দুবার ফৌজদারি অপরাধের মামলা হলো। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে তাকে আগ্নেয়াস্ত্র বাণিজ্য সংক্রান্ত মামলায় কর ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত হন।