যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলের টেনেসি অঙ্গরাজ্যে টর্নেডোর আঘাতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। টর্নেডোর তাণ্ডবে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যের বাড়ি-ঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অনেক নিম্নাঞ্চল পানির তলে ডুবে গেছে। এখন পর্যন্ত টেনেসি অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ন্যাশভিলের উত্তর উপশহরে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, টেনেসির উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৮০.৪ কিলোমিটার দূরে ক্লার্কসভিলে শহরে এক শিশু ও দুই প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে রোববার পর্যন্ত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন মেয়র জো পিটস।
এ ঘূর্ণিঝড়ে যারা প্রিয়জন হারিয়েছেন তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে জো পিটস বলেন, সবাইকে তাদের দুঃখের সময়ে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
এদিকে মন্টেগোমারি কাউন্টি সরকার জানিয়েছে, আশপাশের এলাকার আরও ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ও স্বজনহারা সবার জন্য প্রার্থনা করে কাউন্টির মেয়র ওয়েস গোল্ডিং বলেন, এটি সবার জন্য একটি দুঃখের দিন।
ট্র্যাকিং সাইট পাওয়ারআউটরেজ.আস-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিহীন ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, গাড়ি ভেসে গেছে, গাছ উল্টে গেছে এবং অনেক ভবন ধ্বংস হয়েছে।
প্রসঙ্গত, টেনেসিতে একাধিক টর্নেডোর কারণে সতর্কতা জারি করেছিল ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস।