Logo
Logo
×

আন্তর্জাতিক

বাইকে চেপে ৩৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বিধানসভায়!

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫২ পিএম

বাইকে চেপে ৩৩০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বিধানসভায়!

বিধায়ক হওয়ার পর বিধানসভায় যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেও গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেননি কমলেশ্বর দোদিয়ার। অবশেষে তিনি তার শ্যালকের মোটরবাইকটি ধার নেন। এতে ‘এমএলএ’ স্টিকার লাগিয়ে যাত্রা শুরু করেন। দীর্ঘ ৩৩০ কিলোমিটার যাত্রার পর গত বুধবার রাতে ভুপালে পৌঁছান দোদিয়ার।

ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। ব্যতিক্রমী এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে।

তিনি ফেসবুক লাইভে ভুপালে তার যাত্রার দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচারও করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এবং রতলাম পুলিশকে ট্যাগ করে দেওয়া এক পোস্টে দোদিয়ার বলেন, বিধানসভায় কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য তার ভুপাল আসা প্রয়োজন ছিল। তবে এ ভ্রমণের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করতে না পারায় তিনি মোটরবাইকে করেই রওনা দেন।

তার দাবি, তার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা উচিত; যাতে পথে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- অবশ্য ভুপালে পৌঁছানোর পরে ‘অতিথি’ হিসেবে এমএলএ রেস্ট হাউসে থাকার সুযোগ পান মধ্যপ্রদেশের সদ্যনির্বাচিত ভারত আদিবাসী পার্টির (বিএপি) বিধায়ক কমলেশ্বর দোদিয়া। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি গণতন্ত্রের মন্দিরে শ্রদ্ধা জানাতে বিধানসভার প্রবেশদ্বারের সামনে যান এবং পরে কর্মকর্তাদের কাছে বিধায়ক হিসেবে তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।

দোদিয়ার তার দলের একমাত্র বিধায়ক এবং ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনে রাতলাম জেলার সাইলানা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন। জনগণের ভোটে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন এই নেতা।

দোদিয়ার বলেন, যেহেতু তিনি দরিদ্র এক শ্রমিকের পরিবার থেকে উঠে এসেছেন, তাই তিনি চার চাকার গাড়ির খরচ বহন করতে সক্ষম নন। জনগণের কাছ থেকে টাকা ধার করে সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

দোদিয়ার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করছেন এবং সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে বর্তমান কংগ্রেস বিধায়ক হর্ষ বিজয় গেহলটকে ৪ হাজার ৬১৮ ভোটে পরাজিত করেন। এই নির্বাচনে বিজেপি ১৬৩টি আসন এবং কংগ্রেস ৬৬টি আসনে জয় পেলেও ২৩০ সদস্যের বিধানসভায় বিএপি কেবল অবশিষ্ট ওই একটি আসনে জিতেছে।
 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম