গ্রেটার হানিগাইড। এক ধরনের পাখি। মোম খেতে পছন্দ করে। মানুষের সঙ্গে পরম বন্ধুত্ব। ডাকলেই সাড়া দেয়। সাহায্য করে মৌয়ালদের। পথ দেখিয়ে নিয়ে যায় মৌচাকে। তবে পাখিটিতে আকৃষ্ট করতে বিশেষ বাঁশি বাজিয়ে থাকেন মধু সংগ্রহকারীরা।
পাখিটি গৃহপালিত বা প্রশিক্ষিত নয়। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক গবেষণায় ভিন্নধর্মী পাখিটিকে নিয়ে নতুন এ তথ্য সামনে এলো। সমীক্ষায় দেখা গেছে, তানজানিয়া এবং মোজাম্বিকের হানিগাইডরা পর্যটকদের চেয়ে মধু সংগ্রহকারীদের ডাকে বেশি সাড়া দেয়। এএফপি।
পাখিটির এমন আচরণগত পার্থক্য নিয়ে মতামত দিয়েছেন কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের জীববিজ্ঞানী ডা. ক্লেয়ার স্পটিসউড। তিনি বলেন, আমরা দেখেছি হানিগাইডরা বিদেশি পর্যটক বা অন্য যে কোনো মানুষের চেয়ে স্থানীয়দের ডাকে বেশি সাড়া দেয়। তার গবেষণাপত্রে আরও উঠে আসে, মানুষ এবং পাখির সহযোগিতামূলক এমন আচরণে উভয়পক্ষই উপকৃত হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় উভয় প্রজাতিই উপকৃত হয়। হানিগাউড পাখিটি মধু সংগ্রহকারীদের মৌচাকের কাছে নিয়ে যায়, যা খুঁজে পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। আবার মধু সংগ্রহের পর মানুষের রেখে যাওয়া প্রোটিসমৃদ্ধ লার্ভা এবং ক্যালরিসমৃদ্ধ মোম থেকে উপকৃত হয় পাখিটি। মানুষ ও পাখিদের যোগাযোগের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন গবেষকরা।
এমনকি আফ্রিকান মধু সংগ্রহকারী ইয়াও এবং হাডজা সম্প্রদায়ের সঙ্গেও কথা বলেন। সবশেষে স্পটিসউড জানান, মানুষ এবং হানিগাইডের মধ্যকার এ সম্পর্ক প্রত্যক্ষ করা সৌভাগ্যের ব্যাপার। পাখি এবং মধু সংগ্রহকারীদের মধ্যে যোগাযোগটি কথোপকথনের মতোই মনে হয়।