ইসরাইলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপনাস্ত্র ছুড়ল হুথিরা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৮ পিএম
ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইলাত শহরের কয়েকটি সামরিক চৌকিতে একের পর এক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি। বুধবার হুথির সামরিক মুখপাত্রের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে হামলায় ইসরাইলে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়েছে কি না তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হওয়া যায়নি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বুধবার ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে ছোড়া একটি ড্রোনে গুলি চালিয়ে ভূপাতিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের আরলে বার্ক ডেস্ট্রয়ার। তবে এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহত হয়নি। এছাড়া ড্রোনটির লক্ষ্যবস্তুও পরিষ্কার নয়।
গত ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ লোহিত সাগরে ষষ্ঠবারের মতো ড্রোনে গুলি চালিয়েছে মার্কিন নৌবাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যের জলসীমায় ইসরাইলি কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজে সাম্প্রতিক একের পর এক হামলার মাঝেই বুধবারের হামলার ঘটনা ঘটেছে।
হুথিদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরাইলি শত্রুদের বিরুদ্ধে তাদের সামরিক অভিযান চলবে। একই সঙ্গে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে ইসরাইলি সব জাহাজকে আরব ও লোহিত সাগরে চলাচলে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে।
তেহরানের মিত্র হুথিরা গাজা উপত্যকায় যুদ্ধরত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে লোহিত সাগরে ইসরাইল এবং ইসরাইল-সংশ্লিষ্ট জাহাজে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন নিক্ষেপ করছে।
এর আগে বুধবার ব্রিটেনের সমুদ্র নিরাপত্তাবিষয়ক দুই সংস্থা মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন এজেন্সি (ইউকেএমটিও) এবং অ্যামব্রে ইয়েমেনের হোদাইদাহ বন্দরের পশ্চিমে লোহিত সাগরে সন্দেহভাজন ড্রোন হামলার একটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানায়।
ওই অঞ্চলে চলাচলকারী সব জাহাজকে সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছে ইউকেএমটিও। গত রোববার মার্কিন সামরিক বাহিনী জানায়, দক্ষিণ লোহিত সাগরে তিনটি বাণিজ্যিক জাহাজ হামলার শিকার হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে পেন্টাগন বলেছে, ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের ক্রমবর্ধমান হামলায় মার্কিন যুদ্ধজাহাজকে লক্ষ্যবস্তু নাও করা হতে পারে। যদিও মার্কিন নৌবাহিনী ড্রোন ভূপাতিত করে ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হামলার জবাব দিয়েছে।
রোববার ইয়েমেনের এ বিদ্রোহী গোষ্ঠী ওই অঞ্চলে দুটি ইসরাইলি জাহাজে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি করেছে। ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মুসলিম বিশ্বকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে তারা এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে।