ইসরাইলের সেনাঘাঁটির ওপর ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩৩ পিএম
![ইসরাইলের সেনাঘাঁটির ওপর ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/12/03/image-747336-1701624823.jpg)
দখলদার ইসরাইলের সেনাঘাটির ওপর হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। সেখানে ৬০ সেনা তাঁবুতে অবস্থান করছিল।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) গাজার মধ্যাঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসেম ব্রিগেডস।
তাদের দাবি, রোববার ভোরে একটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। যেখানে ৬০ ইসরাইলি সেনা অবস্থান করছিল।
এ ব্যাপারে আল-কাসেম ব্রিগেডস বলেছে, ‘রোববার ভোরে আমাদের সদস্যরা বৃত্তাকারভাবে তিনটি সেনাবিধ্বংসী (এন্টি-পারসোনেল) বিস্ফোরক স্থাপন করে এবং ভোর ৪টা ৩০ মিনিটের দিকে সেগুলোতে বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে একটি তাঁবুতে ৬০ ইসরাইলি সেনা ছিল। গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলের জুহোর অ্যাড-দিক অঞ্চলে এই অভিযান চালানো হয়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের পরও যেসব সেনা বেঁচে গেছে; তাদের লক্ষ্য করে পুনরায় হামলা চালানো হয়।
আল-কাসেমের বিবৃতির পর এখন পর্যন্ত এ নিয়ে মন্তব্য করেনি ইসরাইল। তবে রোববার ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানায়, গাজায় স্থল অভিযানে অংশ নেওয়া আরও দুই সেনা নিহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে চলা অস্থায়ী সাতদিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হয়। এরপর গাজায় ফের নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো শুরু করে তারা। যুদ্ধবিরতি শেষে হামাসও গাজায় অবস্থানরত ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা শুরু করে।
যুদ্ধ শুরুর পর দখলদার ইসরাইলি সেনাদের হামলায় এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। যাদের প্রায় ৭০ শতাংশই হলেন নারী ও শিশু।